ড্রাগনের দেশ নামে পরিচিত চীনের মানুষের খাদ্যাভ্যাস কিছুটা ভিন্ন। আবহাওয়া, পরিবেশ এবং ভৌগোলিক কারণে দেশটির অনেক খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব খাবার খেলে ক্যান্সারের মতো আরও অনেক প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। চীন ভ্রমণে গেলে যে ৮ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে সেগুলোই আজ জানাবো- 

তেলাপিয়া মাছ

চীনে পানি দূষণ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। পানিতে তেলাপিয়া মাছ যেকোনো ধরনের বর্জ্য পদার্থ খেয়ে থাকে। তাই দেশটিতে ভ্রমণে গিয়ে যদি কোনো রেস্তোরাঁয় এ মাছ চোখে পড়ে তাহলে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ মাছের ভেতর থাকা বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। 

কড মাছ

যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক কড মাছই চীন থেকে নেওয়া হয়। পানি দূষণের কারণে তেলাপিয়ার মতো কড মাছও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ মাছ খেলে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। তাই চীনে কোনো রেস্তোরাঁয় কড মাছ চোখে পড়লে সেটি না খাওয়াই ভালো। 

আপেল জুস

চীনের মানুষের প্রিয় খাবার হলো আপেলের জুস। কিন্তু দেশটির বিরুদ্ধে আপেলে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। ফলে চীনের আপেল জুস মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। ভুলেও চীনের আপেল জুস খাওয়া যাবে না। 

মাশরুম

চীনের মাশরুম পর্যটকদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কারণ দেশটিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাশরুম তৈরি হয়। অনেক সময় মাশরুমে রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হয়। তাই চীনে গিয়ে এ ভুল কখনো করবেন না। 

চীনা পেঁয়াজ

অন্যান্য ফসলের মতো চীনের পেঁয়াজেও কীটনাশক মেশানো হয়। মিথাইল ব্রোমাইড নামে একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হয়। এটি স্বাস্থ্যে জন্য কতটা ক্ষতিকারক তা বলার অবকাশ রাখে না। 

মুরগি

সম্প্রতি চীনে মুরগির মধ্যে এভিয়ান ফ্লু প্রাদুর্ভাবের দেখা দিয়েছে। এটি মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ। সে কারণে চীনের মুরগি খাওয়া থেকে বিরত থাকা ভালো। বিশেষ করে চীনের কোনো রেস্তোরাঁয় গেলে চিকেন ফ্রাই খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

প্লাস্টিকের চাল

আলু এবং রেজিনের মিশ্রণে চীনের বাজারে তৈরি করা হয় প্লাস্টিক চাল। যা স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক। চীন ভ্রমণে এ প্লাস্টিকের চাল কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। 

মটরশুঁটি

চীনে মটরশুঁটির সঙ্গে সোডিয়াম মেটাবাইসালফাইড, সয়াবিন ও কেমিক্যাল মিশিয়ে রাখা হয়। সে কারণে চীনা মটরশুঁটি থেকে দূরে থাকা উত্তম।

সূত্র: ডেভিডউলফ ডট কম।

এইচএকে/আরআর/এএ