দার্জিলিং ম্যাল থেকে শুরু করে গ্যাংটক, সর্বত্রই পর্যটকদের ভিড়। হোটেল না পেয়ে রাস্তাতেই রাত কাটাচ্ছেন অনেকে। সেসব ছবিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। গরমের ছুটিতে ভিড় উপচে পড়েছে শৈলশহরে। কিন্তু দার্জিলিং বেড়াতে যাওয়ার সেরা সময় কোনটি জানেন?

বাঙালির কম খরচে ও অল্প দিনের মধ্যে পাহাড় দেখার স্বপ্ন পূরণ করে দার্জিলিং। আর আজকাল দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় পাহাড়ি গ্রামগুলোও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই সময় পেলেই অনেকে পাড়ি দেন শৈলশহরে। আজকাল সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে দার্জিলিংয়ে। তবে, শৈলশহর বছরের একেক সময় একেক রকম দেখায়।

গ্রীষ্মকাল

এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত দার্জিলিংয়ে গ্রীষ্মকাল। এ সময় বৃষ্টির দেখাও মেলে মাঝেমধ্যে। এপ্রিলে বসন্ত আসে শৈলশহরে। এই সময় গ্রীষ্মের ছুটি থাকে। তাই পর্যটকদের ভিড়ও বেশি। আর কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সুযোগও রয়েছে। গ্রীষ্মকালে দার্জিলিংয়ের আবহাওয়া খুবই মনোরম থাকে। খুব বেশি ঠান্ডা থাকে না। মার্চে‌র শেষ থেকেই ঠান্ডা কমতে থাকে। তাছাড়া, এই সময় শৈলশহরে বেড়াতে গেলে দেখা মেলে ম্যাগনোলিয়া, রডোডেনড্রন ও অন্যান্য ফুলের।

বর্ষাকাল

জুলাই থেকেই বর্ষা শুরু হয়ে যায়। দুর্ঘটনা এড়াতে অনেকেই এই সময় পাহাড় ভ্রমণ এড়াতে চায়। তবে, বর্ষায় পাহাড় হয়ে ওঠে স্নিগ্ধ, মায়াবী ও রোমাঞ্চকর। কুয়াশার ঢেকে যায় গোটা শৈলশহর। বর্ষায় পাহাড় দেখতে গেলে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আপনাকে দার্জিলিংয়ের প্ল্যান বানিয়ে নিতে হবে। এছাড়া, এই সময় পর্যটকের ভিড়ও কম থাকে। সেপ্টেম্বরের পরেও দার্জিলিংয়ে বৃষ্টি পেতে পারেন। 

অক্টোবর হলো সেই মাস যখন বর্ষা বিদায় নেয় এবং শৈলশহরের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। শরতের আমেজে মাঝেমধ্যেই দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। কফি, হট চকলেট, থুকপা বা তিব্বতীয় খাবারের স্বাদ নিতে পুজার সময় দার্জিলিং যেতে পারেন।

শীতকাল

অক্টোবর থেকেই দার্জিলিংয়ে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তবে, ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা ২ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘুরতে থাকে। অনেক সময় মাইনাসেও পৌঁছে যায়। নতুন বছর উদযাপন করতে, শীতের ছুটি কাটাতে এই সময় সবচেয়ে বেশি মানুষ ভিড় করেন দার্জিলিংয়ে। ঠান্ডা বেশি থাকলেও এই সময়ই কাঞ্চনজঙ্ঘা স্পষ্ট দেখা যায়। 

তাহলে আপনি কোন সময়ে দার্জিলিং যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন?

কেএ