দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিন হেলালী বলেছেন, বাংলাদেশের ট্যুরিজম সেক্টরটি এখন অনেক বড় হয়েছে, যে কারণে এখানে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া জরুরি। 

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে পর্যটন মেলা উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী দ্বাদশ বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটটিএফ)। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে এই মেলা।

আন্তর্জাতিক এই মেলার আয়োজন করছে দেশের পর্যটন শিল্পের বাণিজ্য সংগঠন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।

আমিন হেলালী বলেন, এই খাতে আর কী কী সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করতে হবে, কোন দিকে বেশি দৃষ্টি দিতে হবে, সেই দিকগুলো আগে বিবেচনায় আনতে হবে। পরে সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করা উচিত। ট্যুরিজম খাতে যারা ব্যবসা করছে, তাদের সুযোগ-সুবিধার দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। আরও ইনভেস্টর যেন এখানে এসে এখানে ইনভেস্ট করে, সেজন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, ট্যুরিজম খাতে সাথে সংশ্লিষ্ট যারাই আছে, যেসব সংগঠন আছে, আলাদা আলাদা খাত আছে তাদের সবাইকেই একসাথে বাংলাদেশের ট্যুরিজমের জন্য কাজ করে যেতে হবে। যেসব দাবি-দাওয়া আছে এসব করণীয় আছে, সেগুলো সবাই মিলে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। তাহলে এই খাতকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

আমিন হেলালী বলেন, সেভেন সিস্টারের দিক থেকে যদি যোগাযোগ ব্যবস্থা পর্যটন সুবিধা আমরা দিতে পারি, তাহলে এই অঞ্চলগুলো থেকেও কিন্তু প্রচুর পরিমাণে পর্যটক আমাদের দেশে আসবে। তারা যদি আসে কক্সবাজার ঘুরে বা অন্যান্য পর্যটন এলাকা ঘুরে, তাহলে যে ডলার তারা এখানে খরচ করবে, সেগুলো আমাদের পর্যটন খাতে বিকাশের জন্য, দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। সেখান থেকে ফরেন কারেন্সি যুক্ত হবে। এই সুযোগ সৃষ্টি করতে আমাদের যা যা করণীয়, সেসব করার উদ্যোগ নিতে হবে।

আয়োজকরা জানান, এবারের পর্যটন মেলায় দেশি-বিদেশি প্রায় ১০০টি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান ১৫৩টি বুথ এবং প্যাভিলিয়নে তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে। মেলা চলাকালে অংশগ্রহণকারী সব সংস্থার দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন আকর্ষণীয় ট্যুর প্যাকেজ ও বিশেষ ছাড়ে বিমানের টিকিট কেনার সুযোগ থাকবে। 

মেলায় ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভিয়েতনামের ট্যুরিজম প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। এবারের আসরের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন টোয়াবের সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী এবং বিমানের বিপণন ও বিক্রয় পরিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশী। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন— টোয়াবের পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) মো. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পরিচালক জামিল আহমেদ ও ঢাকা রিজিওন ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. নাইমুল হক প্রমুখ।

এএসএস/কেএ