বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে সম্পৃক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। পর্যটন শিল্প দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অন্যতম হাতিয়ার।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৩' উপলক্ষ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের আয়োজনে মুজিবস বাংলাদেশ উদযাপনে ৪ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন। 

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান রাহাত আনোয়ার।  

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বের বুকে পর্যটন শিল্পে এক অপার সম্ভাবনার নাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি এবং গৌরবময় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক-বাহক। তিনি বলেন, এদেশের প্রাকৃতিক রূপ-বৈচিত্র্য অন্য দেশের থেকে অনন্য এবং একক বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত, তাই পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের সম্ভাবনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।  

স্পিকার বলেন, এদেশের মানুষ অতিথিপরায়ণ এবং বন্ধুবৎসল। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রত্নতাত্মিক নিদর্শন, ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি, দীর্ঘতম অখণ্ড সমুদ্র সৈকত, বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, প্রসিদ্ধ খাবার, সঙ্গীত এবং নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী ইত্যাদির আকর্ষণে বিদেশিরা এদেশে ছুটে আসে। 

তিনি বলেন, প্রতিবেশগত ভারসাম্য বজায় রেখে যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দায়িত্বশীল পর্যটন কার্যক্রম পরিচালনা এবং এর অর্থনৈতিক সুফল স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।  

তিনি বলেন, দেশের অফুরন্ত পর্যটন সম্ভাবনাকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে। সবার আন্তরিক অংশগ্রহণের ফলেই পর্যটন শিল্প দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

এসময় স্পিকার ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’ এবং ‘প্লাস্টিক ফ্রি সেন্টমার্টিন’ উদ্যোগের উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং এ অনুষ্ঠানের জন্য আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তানভীর ইমাম জয়, আশেক উল্যাহ রফিক এবং সৈয়দা রুবিনা আক্তার, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ, পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা, বিভিন্ন স্টলের সত্ত্বাধিকারী, আমন্ত্রিত অতিথি, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এসআর/এসএম