গত এক দশকে পাহাড়ে ভ্রমণকারীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রকৃতির খুব কাছাকাছি গিয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার মধ্যে যে আনন্দ তা পাহাড় ছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। সেজন্য ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের শীর্ষে থাকে পাহাড়-জঙ্গল। আর বাংলাদেশে পাহাড় মানেই বান্দরবান-খাগড়াছড়ি অথবা রাঙামাটি।

বিশেষ করে গরমের দাপট বাড়লে অনেক মানুষ পাহাড় ভ্রমণ পছন্দ করে। কিন্তু যারা এর আগে কখনো দেশে কিংবা বিদেশে পাহাড় ভ্রমণে যাননি তাদের বিষয়ে অভিজ্ঞরা বলছেন, প্রথম বার পাহাড়ে যাওয়ার আগে কয়েকটি বিষয়ে আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখলেই ভ্রমণ সহজ হবে।

১. আবহাওয়া
পাহাড়ের আবহাওয়া ভীষণ খামখেয়ালি। তাই ঘুরতে যাওয়ার ব্যাগ গোছানোর আগে যেখানে যাবেন, সেই জায়গার তাপমাত্রা কেমন রয়েছে, বৃষ্টি হচ্ছে কি না, প্রচণ্ড গরম পড়ে কি না— সে সব বিষয়ে ধারণা থাকা প্রয়োজন।

২. রুট পরিকল্পনা
কোন স্টেশনে নামবেন, সেখান থেকে আগে কোথায় যাবেন, কোথায় থাকলে সেখানকার দ্রষ্টব্য সব কেন্দ্রগুলো কাছাকাছি পড়বে— সেই সব আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখলে ঘুরতে যাওয়া সহজ হয়।

৩. জুতো
পাহাড়ে ট্রেকিং করার জন্য আলাদা জুতা পাওয়া যায়। কিন্তু প্রথমবার গিয়েই তো আর ট্রেকিং করবেন না। তা হলে আলাদা করে জুতা লাগবে কেন? অভিজ্ঞরা বলছেন, পাহাড়ি পথে চলতে আরাম তো লাগবেই। পাহাড়ে ভোর এবং রাতের দিকে খুব ঠান্ডা পড়ে। অতিরিক্ত ঠান্ডা থেকে বাঁচতেও সাহায্য করবে জুতা।

ভ্রমণে পোশাক নির্বাচন করতে হবে আবহাওয়া অনুযায়ী

৪. গরমের পোশাক
গরমকালেও পাহাড়ে ঠান্ডা থাকে। তবে কোন সময়ে ঠান্ডা কেমন থাকে, তা ইন্টারনেটে খুঁজলেই পাওয়া যায়। তাই ব্যাগ ভর্তি করে বেশি পোশাক না নিয়ে এমন পোশাক নিন, যা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পরা যায়। যদি বৃষ্টির সময়ে যান, তা হলে ছাতা-রেইনকোট নিতে ভুলবেন না।

৫. বমির ওষুধ
ঘুরতে যাওয়ার দলে শিশু বা বৃদ্ধরা থাকলে প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ সঙ্গে রাখতেই হয়। কিন্তু প্রথমবার পাহাড়ে গেলে যে ওষুধটি একেবারে ভুললে চলবে না, সেটি হলো বমির ওষুধ। কারণ, পাহাড়ি পথে প্রথমবার উঠতে বা নামতে গেলে গা গুলিয়ে, বমি পেতেই পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হাতের কাছে ওষুধ রাখাই বাঞ্ছনীয়।

এসএম