ভ্রমণের সহজলভ্য মাধ্যম হচ্ছে প্লেন বা উড়োজাহাজ। এর মাধ্যমে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণ করা যায়। ফলে যাত্রী চাহিদা দিনকে দিন বাড়ছেই। এ চাহিদার কথা মাথায় রেখে এয়ারলাইন্সগুলো নিত্যনতুন প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হয়। তেমনই ৫টি প্রযুক্তি নিয়ে আজকের আয়োজন-

ব্লক চেইন টেকনোলজি

এয়ারলাইন্স ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন কাজে ব্লক চেইন টেকনোলজি ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। যাত্রীদের সব তথ্য ডাটাবেজ আকারে সংরক্ষণ করা হয় এবং এর ওপর নির্ভর করেই তাদের ফিজিক্যাল আইডি দেয়া হয়। যাত্রী পরিষেবায়ও এ পদ্ধতিটি ব্যবহৃত হয়। এছাড়া যাত্রীদের রোবাস্ট সিকিউরিটি সিস্টেম তৈরিতে এ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি

অগমেন্টেড রিয়েলিটি বা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের মধ্যে খুচরা ব্যবসা, স্বাস্থ্যসেবা খাতসহ বিভিন্ন খাত পরিচালনা করছে বিশ্বের অনেক দেশ। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষও এ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে যাত্রীরা এয়ারপোর্টে বা বিমানবন্দরে নেভিগেট করতে পারে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স

বিশ্বব্যাপী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও এটি ব্যবহার করছে। যেমন যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এয়ারলাইন্স কোম্পানি এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন সমস্যার আগাম সতর্ক বার্তা পাচ্ছে।

বিকনস টেকনোলজি

খুচরা ব্যবসায়ে বিশ্বব্যাপী সফলতা অর্জন করেছে বিকনস টেকনোলজি। বিশেষ করে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো। বিমানে যাতায়াতকারীরা প্রযুক্তিটি ব্যবহার করে নেভিগেশনের কাজ করতে পারে। যেমন অ্যাপটি ব্যবহার করে মিয়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রীরা বিভিন্ন স্থান থেকে নেভিগেশন করে। বিকনস অ্যাপে বিমান ভ্রমণ সংশ্লিষ্ট অনেক তথ্য দেওয়া থাকে।

রোবোটিকস

অন্যান্য প্রযুক্তির পাশাপাশি এয়ারলাইন্স কোম্পানি রোবোটিকসের মাধ্যমে অনেক কাজ করতে পারছে। যেমন যাত্রী ব্যবস্থাপনা, গাড়ি পার্কিংসহ আরও অনেক কাজ করতে পারছে। রোবোটিকস নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা থাকার কারণে দ্রুত অনেক কাজ করা সম্ভব হচ্ছে।

এইচএকে/আরআর/এএ