গণপরিবহনে যা করবেন না
শহুরে এলাকায় বেশিরভাগ মানুষ গণপরিবহন ব্যবহার করেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না গণপরিবহনে যাতায়াত করার সময় কোন কাজগুলো করা উচিত নয়। এই কারণে বিভিন্ন সময়ে রাস্তাঘাটে ঘটে বাগবিতণ্ডা। বাগবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতি আর সেখান থেকে বড় কোনো সংঘর্ষের সূচনা হয়। গণপরিবহন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যেসব কাজ করা উচিত নয় সে বিষয়ে আপনাকে জানাবো।
বিজ্ঞাপন
বাইরে বাদামের খোসা ফেলবেন না
বাদামসহ বিভিন্ন ফলের খোসা, কফ-সর্দি, চিপস-চকোলেটের ঠোঙা গণপরিবহন থেকে বাইরে ফেলবেন না। এর মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ হয়। বাংলাদেশের অনেকেই বিষয়টি মানেন না এবং বাদামের খোসা বা খাবারের উচ্ছিষ্ট বাসের জানালা দিয়ে ফেলে দেন। পরিবেশসচেতনদের দৃষ্টিতে এটি বড় অপরাধ।
পকেট সাবধানে রাখুন
পকেটমারের হাত থেকে নিজের মানিব্যাগ, মোবাইলসহ আরও অনেক ব্যক্তিগত জিনিস সাবধানে রাখুন। কেউ যেন আপনার পকেটে হাত দিতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন। গণপরিবহনে আনমনে বসে থাকলে মূল্যবান জিনিস চুরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দামী মোবাইল বা আইফোন ব্যবহার থেকে বিরত হোন।
নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের আসনে বসবেন না
গণপরিবহনে অনেকে সামনে যে ৯টি আসন নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সংক্ষিত সে আসনগুলোতে বসতে চায়। উদ্দেশ্য যাই হোক, অনেকে এ নিয়ে নারীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। মূলত নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য গণপরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত পুরুষদের বসা উচিত নয়।
ভাড়া নিয়ে বিতর্ক করবেন না
বাসে বেশিরভাগ মানুষ ভাড়া নিয়ে কন্ডাক্টর ও সাহায্যকারীর সঙ্গে বিতর্ক করেন। অনেকে হাতাহাতিও করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া দেয়াটাই সঙ্গত। এটি নিয়ে বিতর্ক করা উচিত নয়।
ঘুমানোর সময়ে সহযাত্রীর কাঁধে মাথা রাখবেন না
গণপরিবহনে অনেকেই ঘুমিয়ে যান। কিন্তু ঘুমানোর সময়ে তারা অন্যের কাঁধে মাথা রেখে ফেলেন। এটি সহযাত্রীর জন্য বিব্রতকর এবং এ কারণে সহযাত্রী বিভিন্নভাবে হেনস্থা হতে পারেন। এছাড়া ঘুমানোর সময়ে নাক ডাকার শব্দ অন্য যাত্রীদের কাছে বিরক্তির কারণ।
স্টপেজ ছাড়া বাসে উঠবেন না
নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়া বাসে ওঠা যাবে না। এটি গণপরিবহনের নীতিমালার পরিপন্থি আচরণ। ঢাকা শহরে অনেকেই অলসতা করে স্টপেজে পৌঁছাতে চান না। নির্ধারিত স্টপেজের বাইরেও বাসে উঠতে চান। স্টপেজ ছাড়া বাসে ওঠা ঠিক নয়।
এইচএকে/আরআর/এএ