১১তম বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ১১তম বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ)। আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত চলা আন্তর্জাতিক এ পর্যটন মেলায় ভারত ভ্রমণের দারুণ সব প্যাকেজ এনেছে বিভিন্ন ট্রাভেল প্রতিষ্ঠানগুলো।

শুক্রবার (৩ মার্চ) আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ারে স্টল নেওয়া অনেক প্রতিষ্ঠানই ভারত ভ্রমণের বিভিন্ন প্যাকেজ রেখেছে।

মেলায় আরএমকে হলিডেস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জহির আহমেদ হেলাল জানান, ভারত ভ্রমণের জন্য আমাদের কাছে বেশ কিছু সাশ্রয়ী প্যাকেজ রয়েছে। মেলায় আগতদের অনেকেই আগ্রহী ভারত ভ্রমণের বিভিন্ন প্যাকেজ নিয়ে। এরমধ্যে ছয় দিন পাঁচ রাতের দিল্লি-আগ্রা-জয়পুর-আজমেরির প্যাকেজের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা। এরমধ্যে থাকবে ঢাকা-দিল্লি-ঢাকা রিটার্ন এয়ার টিকিট এবং ৩ তারকা হোটেলে থাকার সুযোগসহ ব্রেকফাস্ট ডিনার।

আরও পড়ুন >>> ছুটির দিনে জমে উঠেছে আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা

মেলা ঘুরে ভারত ভ্রমণের সম্পর্কে জানা গেছে, সিকিম বাই রোড চার রাত পাঁচ দিনের প্যাকেজের মূল্য ২৫ হাজার ৫০০ টাকা। প্যাকেজে রয়েছে ঢাকা-শিলিগুড়ি রিটার্ন এসি বাস টিকিটসহ প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার। দার্জিলিং-কালিম্পং-মিরিক তিন রাত চার দিনের জনপ্রতি ১৮ হাজার ৫০০ টাকা।

এছাড়া দিল্লি-সিমলা-মানালি সাত দিন ছয় রাতের প্যাকেজের মূল্য ৫৪ হাজার ৫০০টাকা। প্যাকেজে রয়েছে ঢাকা-দিল্লি-ঢাকা রিটার্ন এয়ার টিকিটসহ ৩ তারকা হোটেলে থাকার সুযোগ। সে রয়েছে সঙ্গে প্রতিদিন হোটেলে ব্রেকফাস্ট এবং ডিনার। স্বর্গীয় কাশ্মীর ছয় দিন পাঁচ রাতের প্যাকেজের মূল্য ধরা হয়েছে ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা। আর এ প্যাকেজে রয়েছে ঢাকা-দিল্লি-শ্রীনগর-ঢাকা রিটার্ন এয়ার টিকিট। ৩ তারকা হোটেলে থাকার সুযোগসহ প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট এবং ডিনার।

অন্যদিকে দার্জিলিং-গ্যাংটক বাই রোড পাঁচ রাত ছয় দিনের প্যাকেজের মূল্য ধরা হয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ টাকা। এ প্যাকেজে রয়েছে ঢাকা-শিলিগুড়ি রিটার্ন এসি বাস টিকিট। ৩ তারকা হোটেলে থাকার সুযোগসহ প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনার।

আরও পড়ুন >>> মেলায় শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপের টিকিটে মিলছে ১৫ শতাংশ ছাড়

এদিকে শুরু হওয়া এবারের আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় টাইটেল স্পন্সর হিসেবে থাকছে ফার্স্ট ট্রিপ। আয়োজকরা জানান, দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন এ মেলায় মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ ফি লাগবে না। বাকিরা ৩০ টাকা এন্ট্রি ফি দিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। মেলায় আন্তর্জাতিক ও দেশি এয়ারলাইন্স, ট্যুরিজম বোর্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইনার ও হাসপাতাল অংশ নিয়েছে। মেলায় ৩টি হলে ১৪টি প্যাভিলিয়নসহ ১৫০টি স্টল রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলা। এবার মেলায় আয়োজন করা হয়েছে দুইটি সেমিনার।

এবারের মেলা আগের বছরের তুলনায় আরও বেশি করে আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেলায় সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, এফবিসিসিআই ও ট্যুরিস্ট পুলিশ। এছাড়া মেলায় বিভিন্ন দেশের জাতীয় পর্যটন সংস্থা ও ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনও অংশগ্রহণ করেছে। ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, জাপান ও তুরস্কের ট্যুর অপারেটর এবং ট্রাভেল এজেন্টরা অংশ নিয়েছে ১১তম বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ারে (বিটিটিএফ)।

এএসএস/এফকে