ডোলমা খাং পর্বত অভিযানে শায়লা বিথী
হিমালয়ের ৬ হাজার ৩৩২ মিটার উঁচু ডোলমা খাং পর্বতচূড়া অভিযান শুরু করেছেন বাংলাদেশের পর্বতারোহী শায়লা বিথী। সোমবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে একজন শেরপাসহ ডোলমা খাং পর্বতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি।
এ অভিযানের শিরোনাম হলো দ্য ডোলমা খাং চ্যালেঞ্জ ফিচার শায়লা বিথী অ্যান্ড জেডএম অ্যাকুয়াবোম্ব। এ অভিযানের টাইটেল স্পন্সর জেডএম অ্যাকুয়াবোম্ব এবং কো-স্পন্সর বেঙ্গল নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি এ পর্বতচূড়ায় আরোহণ করেননি।
বিজ্ঞাপন
পর্বতারোহী শায়লা বিথী ফোনে জানান, স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় কাঠমান্ডু থেকে ডোলমা খাং পর্বতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে তারা ৭ ঘণ্টা গাড়িতে করে কাঠমান্ডু থেকে চেট চেট নামের একটি স্থানে যান। সেখান থেকে তিন ঘণ্টা ট্রেকিং করে আজ বিকেলে সিমিগাও নামের একটি গ্রামে পৌঁছেছেন।
ঢাকা ট্রাভেল অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের সদস্য শায়লা বিথী বলেন, আগামী ৬ দিন ট্রেকিং করে ডোলমা খাং বেসক্যাম্পে পৌঁছানোর চেষ্টা করব। সেখান থেকে আগামী ৬ বা ৭ নভেম্বর পর্বত শীর্ষে আরোহণের চেষ্টা চালাবো। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১২-১৩ দিনের মধ্যেই এ অভিযান সম্পন্ন করতে পারব।
শায়লা বিথীর অভিজ্ঞতার ঝুলিতে রয়েছে ৮টি পর্বতাভিযান, ট্রেকিং ও ট্রেনিং। সর্বশেষ তিনি ২০২১ সালের অক্টোবরে হিমালয়ের আইল্যান্ড পর্বতচূড়া জয় করেন। শায়লা বিথী ২০১৬ সালে ভারতের নেহেরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টিনিয়ারিং থেকে পর্বতারোহণের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেন। প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে ২০১৮ সালের মে মাসে তিব্বতের লাকপারি (৭ হাজার ৪৫ মিটার) পর্বতচূড়া জয় করেন। ২০১৯ সালের মে মাসে প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে হিমালয়ের দুর্গশ তাশি লাপচা (৫ হাজার ৭৫৫ মিটার) গিরিপথ পার হন। ১ম বাংলাদেশি নারী হিসেবে ২০২১ সালের নভেম্বরে হিমালয়ের বিখ্যাত থ্রি-পাস অতিক্রম করেন। এছাড়াও শায়লা বিথী ২০১৫ সালে নেপালের মাউন্ট কেয়াজুরির বেসক্যাম্প (১৫ হাজার ৫শ ফুট উচ্চতা) ট্রেকিং করেন। ২০১৬ সালের অক্টোবরে সফলভাবে নেপালের মেরা পর্বতের চূড়ায় (৬ হাজার ৪৭৪মিটার) ওঠেন। ২০১৭ সালের এপ্রিলে নেপালের থ্রংলা পাস (৫ হাজার ৪১৬ মিটার) অতিক্রম করেন। ২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রথম বাংলাদেশি দলের অংশ হয়ে মানাসলু সার্কিট (৫ হাজার ১০৬ মিটার) সম্পন্ন করেন।
এমএ