মিউজিয়াম তথ্যসমৃদ্ধ জায়গা। অনুসন্ধিৎসু মানুষ জানার জন্য এখানে ভ্রমণ করে থাকেন। বিশ্বের বিভিন্ন মিউজিয়ামে রয়েছে নানা ঐতিহাসিক তথ্য, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উপকরণ। ল্যুভর, টেট মডার্ন, উফিজি গ্যালারি, গুগেনহেম মিউজিয়ামের মতো বিশ্বে অনেক মিউজিয়াম রয়েছে। এসব মিউজিয়ামের মধ্যে আজ আপনাদের জানাবো বৈচিত্র্যময় কয়েকটি মিউজিয়াম সম্পর্কে। আসুন জানা যাক-  

১. বাটা জুতার মিউজিয়াম, কানাডা

কানাডার টরন্টোতে রয়েছে বাটা জুতার মিউজিয়াম। বাটা জুতা কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা থমাস বাটার স্ত্রী ইমেলদা মার্কোর অখ্যাত জুতা সংগ্রহশালা এটি। ইমেলদা মার্কো চল্লিশের দশক থেকে জুতা সংগ্রহ শুরু করেন। সত্তরের দশকে বাটা জুতার মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হয়। মিউজিয়ামটিতে ১৩ হাজার জুতা রয়েছে। 

২. আইসল্যান্ডিক ফ্যালোগিক্যাল মিউজিয়াম

আইসল্যান্ডে ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ অনেক মিউজিয়াম রয়েছে। কিন্তু আইসল্যান্ডিক ফ্যালোগিক্যাল মিউজিয়াম একটু অদ্ভুত। সরকারি ওয়েবসাইটে বলা হয়, এটি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে অদ্ভুত যেখানে ফ্যালিক প্রজাতির নানা ধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণীর সন্ধান পাওয়া যাবে। 

৩. হেয়ার মিউজিয়াম, অ্যাভানস, তুরস্ক

তুরস্কের অ্যাভানস শহরে অদ্ভুত মিউজিয়ামের দেখা মেলে। প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী চেজ গ্যালিপ তাঁর সংগ্রহশালায় ১৬ হাজারের বেশি নারীর চুল সংগ্রহ করেছেন। চুল সংগ্রহ করে রাখার কারণে এর নাম হেয়ার মিউজিয়াম। 

৪. লাঞ্চবক্স মিউজিয়াম, কলম্বাস, জর্জিয়া

জর্জিয়ার কলম্বাস শহরে অদ্ভুত মিউজিয়ামের সন্ধান পাওয়া যায়। মিউজিয়ামটি পালাক্রমে লাঞ্চবক্স সাজানো রয়েছে। এসব বক্স পঞ্চাশের দশক থেকে ষাটের দশক পর্যন্ত সময়ের। শিকড়প্রেমী দর্শনার্থীদের লাঞ্চবক্স মিউজিয়ামে ভ্রমণ করতে বেশি দেখা যায়।

এইচএকে/এএ