যুক্তরাষ্ট্রে যেমন নিরাপদ শহর রয়েছে তেমনই রয়েছে অনিরাপদ শহর। যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের মধ্যে সহিংস হয়ে ওঠার প্রবণতা ৬৭ শতাংশ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি বড় শহরে হত্যাকাণ্ড হয়েছিলো ৩৭ শতাংশ। এর মধ্যে নিউইয়র্কে শুধু ২০১৯ সালেই হত্যাকাণ্ড হয়েছে ৩০ শতাংশ। অপরদিকে ১৯৯০ সাল থেকে শিকাগো শহরে ১০৬ জন মানুষের প্রাণহানি হয় শত্রুর হাতে।

এর আগে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ১০ নিরাপদ শহর সম্পর্কে জেনেছি। এখন জেনে নেয়া যাক যুক্তরাষ্ট্রের ১০ অনিরাপদ শহর সম্পর্কে-

১. স্টকটন, ক্যালিফোর্নিয়া

স্টকটন ক্যালিফোর্নিয়ার অন্তর্গত ছোট একটি শহর। এখানে ভয়াবহ অপরাধের বিস্তার ঘটে চলে। শহরটি যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি জনবহুল মহানগরী লস অ্যানজেলস, সানদিয়েগো ও স্যাকরামেন্টোর অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এই শহরের মানুষ অত্যন্ত দরিদ্র হওয়ার কারণে হত্যাকাণ্ডের মাত্রা বেশি।

২. মিলওয়াউকি, উইসকনসিন

জনসংখ্যার দিক দিয়ে মিলওয়াউকি শহরটি উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বড় শহর। এই শহরে অতিরিক্ত মাত্রায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। আর এই কারণে শহরটি উইসকনসিনের সবচেয়ে অপরাধপ্রবণ ও বিপজ্জনক শহর হিসেবে পরিচিত। বেকারত্ব ও দারিদ্র্য তাদের ক্রমাগত সহিংস করে তুলছে।

৩. লিটল রক, আরকানসাস

আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের লিটল রক শহরটির মানুষ সাধারণত মধ্যম আয়ের। শহরের মানুষের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি রয়েছে। এখানকার মানুষ সংঘবদ্ধভাবে অপরাধ করে থাকে।

৪. ক্লেভল্যান্ড, ওহিও

ক্লেভল্যান্ড শহরটি পরিচ্ছন্ন হলেও শহরটির মানুষের মধ্যে অপরাধ করার প্রবণতা বেশি। ওহিও অঙ্গরাজ্যের অন্যান্য শহরের তুলনায় এই শহরে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। দারিদ্র্য ও বেকারত্বকে ঘিরে হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকে।

৫. কানসাস শহর, মিসসৌরি

কানসাস শহরের মানুষের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা ও সহিংসতার মাত্রা অনেক বেশি। অর্থাভাবে এখানে হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত পৌঁছতে দ্বিধাবোধ করা হয় না। এর কারণ কানসাস শহরের সব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া। ফলে অপরাধীরা লাগামছাড়া হয়ে ওঠে।

৬. সেন্ট লোইস, মিসসৌরি

সেন্ট লোইস শহরের মানুষের মধ্যে সহিংস হয়ে ওঠার প্রবণতা অনেক বেশি। এই শহরে বেকারত্বের কারণে বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়ে থাকে। এছাড়া অন্যান্য সহিংস অপরাধও এই শহরে প্রবল।

৭. বাল্টিমোর, মেরিল্যান্ড

অপরাধের জগতে সেন্ট লোইসের পরেই বাল্টিমোর শহরের কথা বলা যায়। শহরটির মানুষ খুব দরিদ্র এবং এখানে সবচেয়ে বেশি যে অপরাধটি হয়ে থাকে তা হলো ডাকাতি। দারিদ্র্য বা ডাকাতিকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ড এখানে অহঃরহ ঘটে থাকে।

৮. বিরমিংহাম, আলাবামা

আলাবামা অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণে অবস্থিত বিরমিংহাম শহরে ভয়াবহ সহিংসতার বিস্তার ঘটেছে। এই শহরে সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ড মূলত দারিদ্র্যকে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে। শহরটির নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যে দেখা যায়, সেখানে ২৬ শতাংশ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকে।

৯. মেমফিস, তিননিসি

মেমফিস শহরের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে প্রচুর। হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে একে অপরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব প্রধান। মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র হত্যাকাণ্ড এখানেই সংঘটিত হয়েছে।

১০. দেত্রয়েত, মিশিগান

মিশিগান অঙ্গরাজ্যের দেত্রয়েত গাড়ির দামী ব্র্যান্ডের জন্য সুপরিচিত একটি শহর। তবে এই শহরে সহিংস অপরাধের মাত্রা অনেক বেশি। এসব অপরাধের মধ্যে শহরটিতে হত্যাকাণ্ডই অধিক মাত্রায় সংঘটিত হয়ে থাকে।

লিস্টভার্স ডট কমে প্রকাশিত ক্রিস্টোফার ডেলের লেখা অবলম্বনে এইচএকে/আরআর