সাইফ আলী খান
বলিউড অভিনেতা ও প্রযোজক সাইফ আলী খান। তার মা অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর, বাবা ক্রিকেট খেলোয়াড় মনসুর আলি খান পতৌদি। তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে যশ চোপড়ার পরম্পরা (১৯৯৩) চলচ্চিত্র দিয়ে। তিনি ১৯৯৪ সালে প্রণয়ধর্মী ইয়ে দিল্লাগি ও মারপিটধর্মী ম্যাঁয় খিলাড়ি তু আনাড়ি চলচ্চিত্র দিয়ে সফলতা অর্জন করেন।
এর পরবর্তী সময়ে তার বেশ কিছু চলচ্চিত্র ব্যর্থ হওয়ার পর ১৯৯৯ সালে তার অভিনীত বহুতারকাসমৃদ্ধ হাম সাথ-সাথ হ্যাঁয় (১৯৯৯) চলচ্চিত্র ব্যবসাসফল হয়। ২০০০-এর দশকের শুরুতে তিনি দুটি তারকাবহুল চলচ্চিত্র দিল চাহতা হ্যায় (২০০১) ও কাল হো না হো (২০০৩)-এ অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন।
২০০৪ সালে তিনি প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক হাম তুম চলচ্চিত্রে একক প্রধান অভিনেতা হিসেবে প্রথম সফলতা লাভ করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর ২০০৫ সালে নাট্যধর্মী পরিণীতা ও প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক সালাম নমস্তে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে বলিউডের অন্যতম প্রধান অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।
তিনি রোমহর্ষক এক হাসিনা থি (২০০৪) চলচ্চিত্রে সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী, ইংরেজি ভাষার বিয়িং সাইরাস (২০০৬) চলচ্চিত্রে একজন শিক্ষানবিশ, অপরাধধর্মী ওমকারা (২০০৬) চলচ্চিত্রে উইলিয়াম শেকসপিয়রের ইয়াগো চরিত্রের ভারতীয় চরিত্রায়ন, এবং রোমহর্ষক কুরবান (২০০৯) চলচ্চিত্রে সন্ত্রাসী চরিত্রে অভিনয় করে সমাদৃত হন। তার অভিনীত ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রসমূহ হল ২০০৮ সালের রোমহর্ষক রেস ও এর ২০১৩ সালের অনুবর্তী পর্ব রেস ২, ২০০৯ সালের প্রণয়ধর্মী লাভ আজ কাল এবং ২০১২ সালের প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র ককটেল।
তার অভিনীত পরবর্তী একাধিক চলচ্চিত্র বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়, কিন্তু তিনি নেটফ্লিক্সে রোমহর্ষক ধারাবাহিক স্যাক্রেড গেমস-এ পুলিশ কর্মকর্তা এবং ঐতিহাসিক নাট্যধর্মী তানহাজী (২০২০) চলচ্চিত্রে রাজপুত দুর্গ রক্ষক অভিনয় করে প্রশংসিত হন।
সাইফের প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী অমৃতা সিং। তাদের দাম্পত্য জীবন ১৩ বছর স্থায়ী হয়। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। তার বর্তমান স্ত্রী অভিনেত্রী কারিনা কাপুর। কাপুরের সাথে তার এক পুত্র সন্তান রয়েছে।