রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি - সাধারণত বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সরকার ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন কিংবা মনোনীত হয়ে থাকেন। কখনও কখনও বা তিনি পুনরায় নির্বাচিত বা মনোনীত হতে পারেন। পরবর্তীতে শপথগ্রহণপূর্বক নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকেন। তিনি ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী হন। প্রধানমন্ত্রী কিংবা সরকার ভেঙে দিতে পারেন, যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন, সংবিধানের ওপর ভেটো প্রয়োগ করারও অধিকারী তিনি। অনেক দেশেই একজন প্রেসিডেন্ট দেশের সামরিক বাহিনীর প্রধান হয়ে থাকেন। তবে সব ক্ষেত্রেই তার এ ক্ষমতা সরকারের গঠনতন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল।
সংসদীয় পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্টের পদ শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতায় পরিপূর্ণ। এখানে তিনি নামেমাত্র রাষ্ট্রের প্রধান হয়ে থাকেন যা সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ও তার দলীয় সংসদ সদস্য কর্তৃক মনোনীত হন। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল, মাল্টা, ইতালি, হাঙ্গেরি, জার্মানি, গ্রিস প্রভৃতি দেশসমূহে এ ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট মনোনীত করা হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি : মহামান্য রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দায়িত্ব পালন করেন। সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন ছাড়াও তিনি রাষ্ট্রীয়, আনুষ্ঠানিক (Ceremonial), শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবর্গ, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গের নিয়োগ প্রদান করেন। তাছাড়া জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান ও সমাপ্তি ঘোষণা করেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (Supreme Command) এবং বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর। বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতগণ মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট পরিচয়পত্র (Credentials) পেশ করেন। জাতীয় দিবসসমূহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশ্যে বাণী প্রদান করেন এবং বঙ্গভবনে সংবর্ধনার আয়োজন করেন। ‘রাষ্ট্রপতি’ সম্পর্কিত সর্বশেষ সব খবর, প্রতিবেদন, অডিও ও ভিডিও পেতে চোখ রাখুন ঢাকা পোস্ট-এ।