ইমরান মাহমুদুল
সঙ্গীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল-এর ক্যারিয়ার শুরু ২০০৮ থেকে। ২০০৩ সালে ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ইমরান। শিল্পী ইমরানের পরিবার থেকে কাউকে পাওয়া যায়নি শোবিজে। তাই নানীর ইচ্ছা টেলিভিশনে দেখবেন নাতীকে। রবীন্দ্রসঙ্গীত বিভাগে নির্বাচিত হোন তিনি। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসেন ইমরান। যেহেতু গানকে ভালোবাসেন। তাই গানকে ঘিরেই নিজের আয়ের পথ খুঁজে নেন ইমরান।
চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ ২০০৮ আসরের প্রথম রানার আপ ছিলেন ইমরান। একই বছর ‘ভালোবাসার লাল গোলাপ’ সিনেমায় সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে দ্বৈত গানে কণ্ঠ দেন ইমরান। এরপর আরফিন রুমির হাত ধরে প্রথম একক অ্যালবাম রিলিজ করেন ২০১১ সালে। অ্যালবামের নাম ‘স্বপ্নলোক’।
অল্প সময়ে সমসাময়িক অনেকের চেয়ে এগিয়ে যান ইমরান। সঙ্গীতশিল্পী থেকে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেও পরিচিতি পান দ্রুত। ২০১৩ সালে নিজের সুর ও সঙ্গীতে প্রকাশ করেন অ্যালবাম ‘তুমি’। সহশিল্পী ছিলেন পূজা, ন্যান্সি, নওমি ও মিলন। এরপর আরো ৩টি গান রিলিজ করেন ইমরান। অ্যালবামগুলো ‘বলতে বলতে চলতে চলতে (২০১৫)’, ‘মন করিওর (২০১৬)’, ‘বাহুডোর (২০১৬)’।
ইমরানের প্রথম জনপ্রিয় গান ‘তুমি দূরে দূরে থেকো না’। এই গানে তার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠ দেন বাঁধন। এরর ‘বলতে বলতে চলতে চলতে’ গানটি ইমরারে ক্যারিয়ারকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।
অ্যালবামের পাশাপাশি সিনেমার গানেও জনপ্রিয়তা পান ইমরান। এখন পর্যন্ত অর্ধশতাধিক গানের কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ সিনেমার গানগুলোর মধ্যে রয়েছে শূন্য থেকে আসে প্রেম (ছুঁয়ে দিলে মন), রাতভোর (সম্রাট), ‘দিল দিল দিল (বসগিরি), ‘মন জানে (দুলাভাই জিন্দাদবাদ), কোনো মানে নেই তো (বসগিরি), মন বলেছে (নূরজাহান), জোয়ার ভেসে (মেঘকন্যা)।