স্পেসএক্স কী দেউলিয়া হবে?
বিশ্বের সবচেয়ে দামি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। সম্প্রতি সেকেন্ডারি শেয়ার বিক্রয়ের পর প্রতিষ্ঠানটির মূল্য দাড়ায় ১০০.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরপরেও প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক সংকটে পড়তে পারে।
এমনকি দেউলিয়াও হতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। অভ্যন্তরীণ এক ই-মেইলে এমন মন্তব্য করেছেন ইলন মাস্ক। ই-মেইলটি সম্প্রতি গণমাধ্যমের কাছে ফাঁস হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার স্পেস এক্সপ্লোর এটি প্রথমে সবার সামনে আনে। এতে দেখা যায় মাস্ক তার কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছেন, স্পেসএক্সের দেউলিয়ার হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে, যদি না প্রতিষ্ঠানটি এখনই র্যাপ্টার ইঞ্জিন তৈরির গতি বাড়াতে না পারে।
র্যাপ্টার উৎপাদনের সংকটের কথা উল্লেখ করে মাস্ক লিখেন, আমরা যদি পরের বছর প্রতি দুই সপ্তাহ অন্তর একবার স্টারশিপ ফ্লাইট রেট অর্জন করতে না পারি, তবে দেউলিয়া হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। এবং দেউলিয়াত্বের চরম ঝুঁকিতে স্পেসএক্স।
স্টারশিপ হল পরবর্তী প্রজন্মের পুনঃ ব্যবহারযোগ্য রকেট যা নিয়মিত মিশনে ফ্যালকন নাইন প্রতিস্থাপন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। স্টারশিপ ফ্যালকন নাইনের থেকেও বড়। ফলে এজন্য আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন দরকার। পৃথিবীর কক্ষপথে সম্পূর্ণ স্টারশিপ সিস্টেম চালু করতে ৩৯টি র্যাপ্টর ইঞ্জিনের প্রয়োজন হবে।
এদিকে মাস্ক ইমেইলে আরও বলেছেন, তিনি থ্যাঙ্কসগিভিং উইকএন্ডে ছুটি নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে, র্যাপ্টার পরিস্থিতি আবিষ্কার করার পর, ইঞ্জিন উৎপাদন লাইনে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অবজারভার