কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা স্ক্যান্ডাল, মিয়ানমার কর্তৃক রোহিঙ্গা নিপীড়ন, ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ কেলেঙ্কারির মধ্যেও মার্ক জাকারবার্গের নাগালের মধ্যে রয়েছে পৃথিবী।

২০১৭ সালের এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, তিনি আরও অনেক মানুষের জীবনযাত্রা, কাজের পরিবেশ নিয়ে জানতে চান ও মানুষ ভবিষ্যত নিয়ে কী ভাবছে সেই বিষয়ে তিনি আলোচনা করতে চান। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে ভ্রমণ করে সেসব অঙ্গরাজ্যের মানুষের কাছে এসব বিষয় সম্পর্কে কথা বলার লক্ষ্য ছিলো তার। 

এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেসবুক সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গকে কোনো ধরনের সহায়তা করেননি। 

২০ জানুয়ারি ডেমোক্রেটিক পার্টির জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর অনেকেই ভেবেছিলেন মার্ক জুকারবার্গকে সহায়তা করবেন তিনি। অ্যামেরিকান ইকোনমিক লিবার্টিজ প্রজেক্ট-এর পরিচালক সারাহ মিলার মার্ক জাকারবার্গ সম্পর্কে বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের কাছে ইনি পছন্দের কেউ নন। আর আমি মনে করি না যে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে তার কাজ করতে পারবেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য টেক কোম্পানির কাছে ফেসবুক খলনায়কে পরিণত হয়েছে।’ 

এক বছর আগে নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমি ফেসবুক এবং মার্ক জুকারবার্গের প্রতি অনুরক্ত নই। আমি মনে করছি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তির জগতে মার্ক জুকারবার্গই মূল সমস্যা।’ 

এই মনোভাব কেবল বাইডেনের মধ্যেই নেই। কিছুদিন আগে জো বাইডেনের ডেপুটি হেড অব কমিউনিকেশনস বিল রুশো এক টুইটে বলেন, ‘আপনি যদি ভেবে থাকেন আমাদের নির্বাচনের সময় ফেসবুকে অসত্য তথ্য প্রচার বড় একটি সমস্যা ছিলো তাহলে গণতন্ত্রের বেহাল অবস্থা দেখার জন্য অপেক্ষা করুন। 

ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতারা ২০১৬ সালের নির্বাচনে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা স্ক্যান্ডালের কারণে ফেসবুককে দোষারোপ করে আসছে। তাদের বক্তব্য, রিপাবলিকান পার্টির নেতারা ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা ব্যবহার করে নির্বাচনের ফলাফল তাদের পক্ষে নিয়ে যায় এবং এই কারণে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। 

২০১৯ সালে সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে ক্ষমতাসীন করার জন্য তারা যা করেছে তা আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না। আমি মনে করি নির্বাচনের ফলাফল তাদের হাতের মধ্যে রাখার জন্য ফেসবুক অসত্য তথ্য ছড়িয়েছিলো।’ 

এইচএকে/এএ