নাম বদলে ফেলবে ফেসবুক। এমন খবর প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয়েছে ধরনের গুজব। কী হবে নতুন নাম, তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।

কেউ বলছেন, ফেসবুকের নতুন নাম হতে পারে ‘এফবি’, অর্থাৎ যে নামে সবাই ডাকে এই স্যোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম। তবে নাম বদলের খবর প্রথম জন সন্মুখে নিয়ে আসা মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জ-এর মতে, ফেসবুকের নাম হতে পারে ‘হরাইজন’।

ফেসবুকের সাবেক সিভিক ইন্টিগ্রিটি চিফ সমিধ চক্রবর্তীর মতে ফেসবুকের নতুন নাম হতে পারে ‘মেটা’। আসলে মেটা ডট কম (meta.com) ওয়েব অ্যাড্রেস দিলে খুলে যায় মেটা ডট ওআরজি (meta.org) নামে একটি ওয়েবসাইট। এটি একটি বায়ো মেডিক্যাল রিসার্চ ডিসকভারি টুল, যার প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গের স্ত্রী চ্যান জুকারবার্গ।

সম্প্রতি জানা গেছে, সংস্থার নামই বদলে ফেলতে চলেছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট। ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই নতুন নামের কথা ঘোষণা করতে পারেন ফেসবুককর্তা মার্ক জুকারবার্গ। ফেসবুক নামে শুধুমাত্র একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিয়ে সংস্থার যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে এই সংস্থার অধীনে রয়েছে একাধিক প্ল্যাটফর্ম। সে জন্যই সম্ভবত এবার নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করার কথা ভাবছে ফেসবুক।

আগামী সপ্তাহে ২৮ অক্টোবরে সংস্থার একটি কনফারেন্স রয়েছে। দ্য ভার্জ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই বৈঠকেই নতুন নামের বিষয়ে আলোচনা করবেন ফেসবুকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার তথা প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ। তবে সংস্থার নাম বদলালেও সম্ভবত ফেসবুক অ্যাপের নাম বদলাবে না। নতুন যে নামে সংস্থা আত্মপ্রকাশ করবে তার অধীনে একটি অ্যাপের নাম হয়ে থাকবে ফেসবুক। 

ধারণা করা হচ্ছে, সংস্থার অধীনে যেহেতু এখন ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো একাধিক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, তাই সংস্থার নাম ফেসবুক হওয়া বাঞ্ছনীয় নয় বলেই মনে করছেন উচ্চপদস্থ কর্তারা। ঠিক যেমন গুগলের ক্ষেত্রে মূল সংস্থার নাম হিসেবে রয়েছে গুগল আলফাবেট। সে ভাবেই নাম বদলাতে চাইছে ফেসবুক।

যদিও ফেসবুকের পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ফেসবুকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কোনো ধরনের গুজব সম্পর্কে মন্তব্য করবে না ফেসবুক। 

এর আগে, গত জুলাইয়ে মার্ক জুকারবার্গ জানিয়েছিলেন, ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়ার সংস্থা থেকে একটি মেটাভার্স কোম্পানিতে উন্নীত হোক সেটাই তিনি চাইছেন। মেটাভার্স হলো আসলে এক ভার্চুয়াল দুনিয়া, যেখানে মানুষ সব কাজই ভার্চুয়ালি করতে পারবেন। সম্ভবত সেই মেটাভার্সের কথা মাথায় রেখেই নাম বদলাতে চাইছে ফেসবুক।

ওএফ