দেড় শতাধিক ফেসবুক আইডি থেকে জঙ্গিবাদের প্রচারণা চালানো হয়
দেশের বাইরে থেকে প্রায় দেড় শতাধিক ফেসবুক আইডি থেকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, উস্কানিমূলক ও বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার করা হয় বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি সঠিক ও সক্রিয়ভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে নারী ও কন্যা শিশুর ওপর ডিজিটাল সহিংসতা প্রতিরোধে আরও কার্যকর উদ্যোগ বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ সভা হয়।
বিজ্ঞাপন
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, নারীদের সাধারণ ও ডিজিটাল মাধ্যমে নিরাপত্তার বিষয়ে সামাজিক আন্দোলনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে সোশ্যাল মিডিয়া এদের প্রশ্রয়ও দিচ্ছে, প্রতিকারের জন্য খুব একটা সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, নারীর ডিজিটাল নিরাপত্তা সুরক্ষা কিংবা নিরাপত্তায় আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলা অপরিহার্য। না হলে যত বেশি ডিজিটাল হবো সমাজের দুর্বল অংশ বিশেষ করে নারী ও শিশু বিপন্ন থেকে আরও বিপন্নতর হবে।
তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডের দোহাই দিয়ে প্রতিকারে খুব কমই গুরুত্ব দিচ্ছে। পরিস্থিতি উত্তরণে বিশ্বের বহু দেশ সোশ্যাল মিডিয়া আইন করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে সব বয়সী নারী সমাজ। লক্ষ্য করা যায় মেয়েদের ছবি সম্পাদনার মাধ্যমে বিকৃত করে বা অসৎ উপায়ে সংগ্রহ করে তাদের ছবি ডিজিটাল মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে তা ভাইরাল করা হয়।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, এই ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এটি করা সম্ভব। ডিজিটাল অপরাধ দমনে আইন প্রণয়ন অপরিহার্য ছিল। কিন্তু আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো বিশেষ করে ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব ও ডিজিটাল ডিভাইস শনাক্ত যন্ত্র থানাগুলোতে না থাকায় ক্ষেত্র বিশেষে আইনটির অপপ্রয়োগ হতেই পারে। এই অবস্থা উত্তরণে সরকার কাজ করছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, অন্য দিকে স্বাধীনতার পক্ষে মতামত কোনো কোনো ক্ষেত্রে সামাজিক মাধ্যম গুলোতে জায়গা পায় না। তবে গত তিন বছরে ফেসবুকসহ অন্যদের সঙ্গে একটা ভাল সম্পর্ক তৈরি করা চলমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতে তা আরও উন্নতি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, তালেবানসহ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে ফেসবুকে জায়গা দেওয়া হবে না বলে ফেসবুকের বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি তাকে আশ্বস্ত করেছেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু।
একে/ওএফ