উইন্ডোজ ইলেভেনে ‘ব্লু-স্ক্রিনের’ বদলে ‘ব্ল্যাক-স্ক্রিন’!
উইন্ডোজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের ‘উইন্ডোজ ইলেভেনে’ ব্লু-স্ক্রিন আর নেই। উইন্ডোজটির স্টার্টিংয়ে এখন দেখা যাচ্ছে ব্ল্যাক-স্ক্রিন। নতুন প্রজন্মের উইন্ডোজটির ব্যবহারকারীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মাইক্রোসফটের ব্লু-স্ক্রিনের দিন শেষ হয়েছে। এবার এসেছে ব্ল্যাক-স্ক্রিনের চমক।
বিজ্ঞাপন
এ প্রসঙ্গে বিবিসি মাইক্রোসফটের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু তারা কোনো মন্তব্য করেনি।
দ্য ভার্জ জানায়, ২০১৬ সালে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ টেন-এ যোগ করা হয় কিউআর কোড। এতে স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহারকারী তথ্য খুঁজে পাওয়ার সুযোগ পায়। অন্যদিকে ২০১২ সালে উইন্ডোজ এইট-এর স্ক্রিনে যোগ করা হয় ‘আনহ্যাপি ফেস’।
নতুন প্রজন্মের উইন্ডোজের ছবিতে এই দুই অপশন পাওয়া যাবে।
গত ২৪ জুন মাইক্রোসফটের নতুন উইন্ডোজ ‘উইন্ডোজ ইলেভেন’ বাজারে আসে। তবে বাজারে আসার আগেই ১৬ জুন এর একাধিক ডিজাইন ফাঁস হয়ে যায়। তখন উইন্ডোজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।
কিন্তু বাজারে আসার পর প্রতিষ্ঠানটি জানায়, নতুন প্রজন্মের উইন্ডোজ নিয়ে তারা বেশ আশাবাদী। কারণ এখানে ব্যবহারকারীর জন্য আছে চমক। নতুন নতুন ডিজাইনের পাশাপাশি ওয়ালপেপারেও এনেছে ব্যাপক পরিবর্তন। তাছাড়া এই উইন্ডোজে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপও ব্যবহার করা যাবে।
দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন উইন্ডোজে রয়েছে মাইক্রোসফট টিম নামে একটি ভিডিও কনফারেন্স কলের অ্যাপ। তাই প্রশ্ন উঠেছে, স্কাইপ যুগ কী শেষ হতে চলেছে?
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ছেড়ে এখন ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি ২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরের পর থেকে উইন্ডোজ টেন-এর আপডেট আনা হবে না- এমন খবর জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার আগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ছিলেন স্টিভ বালমোর।
সূত্র : বিবিসি ও দ্য ভার্জ।
এইচএকে/টিএম/এএ