সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জায়ান্ট ফেসবুকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দায়ের হওয়া বড় একটি মামলায় বাদিপক্ষ অভিযোগ তুলেছে যে ফেসবুক তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের হাত করতে বিগত বছরগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম কিনে নিয়েছে।

যদিও ফেসবুক সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাধারণ পরামর্শক জেনিফার নিউসটিড বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন আমাদের ব্যবসা এগুতে দিতে চায় না।’ 

মার্কিন নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের ওপর ফেসবুকের মালিকানার ব্যাপারে তারা চূড়ান্ত সমাধান চান। চলতি সপ্তাহে বিবিসির টেক টেন্ট প্রোগ্রামে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের মালিকানা হারালে ফেসবুক সাম্রাজ্যে পতন শুরু হবে কিনা; সেটি নিয়ে আলোচনা হয়।

বৃহস্পতিবার জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং ৪৫টি অঙ্গরাজ্যের প্রসিকিউটররা মামলা করেছেন। আদালতে তারা বলেছেন, ফেসবুক এসব প্রতিষ্ঠানের কৌশলগত পরিকল্পনা চুরি বা ধার করে নিজেদের ব্যবসায়িক পরিধি বাড়িয়ে চলেছে।

নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেতিশিয়া জেমস বলেন, ‘ফেসবুক প্রায় এক দশক ধরে সারা বিশ্বে তাদের একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রেখেছে। আর কোনও কোম্পানি একচেটিয়াভাবে দীর্ঘদিন ব্যক্তিগত তথ্য জেনে নিতে পারে না। এ কারণেই আমরা সোশ্যাল মিডিয়াটির বিরুদ্ধে মামলা করেছি।’ 

হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম কিনে নেয়ার পর থেকে ফেসবুকের শেয়ার চারগুণ বৃদ্ধি পায় এবং বর্তমানে তাদের শেয়ার রয়েছে প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলারের। ফেসবুকের সঙ্গে ফেডারেল নিয়ন্ত্রকদের সাথে আগের বিবাদ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ফেসবুকের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে যে কোনও সময় বাধা আসতে পারে। 

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সঙ্গে মাইক্রোসফটের দীর্ঘদিন ধরে যে লড়াই চলেছিল; সেই লড়াইয়ের পর মাইক্রোসফটকে কোনও প্রকার প্রতিযোগিতায় জড়াতে দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ফেসবুকও সেখান থেকে শিক্ষা নেবে।

এইচএকে