স্কাইপ যুগ কী শেষ হতে চলেছে? এমন প্রশ্ন উঠেছে বিশেষজ্ঞ মহলে। তারা বলছেন, মাইক্রোসফটের নতুন প্রজন্মের উইন্ডোজের টাস্কবারে সরাসরি সংযুক্ত রয়েছে ভিডিও কনফারেন্স কল ‘মাইক্রোসফট টিমস’। 

অনেক মনে করছেন, ভবিষ্যতে ব্যবহারকারীদের কাছে এটিই হয়ে উঠবে স্কাইপের বিকল্প।

বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নতুন উইন্ডোজ থেকে ধীরে ধীরে স্কাইপ বাদ দেওয়া হবে। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছে মাইক্রোসফট টিমস। টুইটারে এমন বার্তাই দিয়েছেন আইরিশ সংবাদমাধ্যম সানডে ইনডিপেনডেন্ট টেক-এর সম্পাদক আদ্রিয়ান ওয়াকলার। তিনি বলেছেন, দেখতে থাকুন, কীভাবে মাইক্রোসফট স্কাইপকে শেষ করে দেয়?

প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ফিউচার পাবলিশিংয়ের কনটেন্ট ডিরেক্টর জেরেমি কাপলান বলেন, স্কাইপ তোমাকে বিদায় জানাই।

আরেকটি প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জের সিনিয়র সম্পাদক টম ওয়ারেন বলেন, স্কাইপের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।

বাস্তবতা হলো, নতুন উইন্ডোজে স্কাইপের প্রয়োজন শেষ হতে চলেছে।

‘ভবিষ্যতে আরও উন্নত হবে’

২০১১ সালের ১০ মে মাইক্রোসফট ৮৫০ কোটি ডলার ব্যয় করে স্কাইপ কিনেছিল।স্মরণকালের মধ্যে মাইক্রোসফট স্কাইপ কিনতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে।

স্কাইপ কেনার সময় মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান নির্বাহী স্টিভ বালমোর বলেছিলেন, ‘এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে স্কাইপে ব্যবহারকারীরা রিয়েল টাইম কমিউনিকেশনের কাজ করতে পারবেন।’

স্কাইপের প্রথম ভার্সন চালু হয় ২০০৩ সালে। এরপর বার বার আপডেটের মাধ্যমে এটি আজকের অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। কিন্তু এর মধ্যেই ২০১৭ সালে মাইক্রোসফট নিজেদের নতুন ভিডিও কনফারেন্স অ্যাপ ‘মাইক্রোসফট টিমস’ চালু করে।

বাজার গবেষণা বিষয়ক সংস্থা সিসিএস ইনসাইটের বিশ্লেষক অ্যাংগেলা অ্যাশেনডেন বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে মাইক্রোসফট স্কাইপ থেকে সরে আসতে চাইছে। তাদের কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এমনটি বোঝা যাচ্ছিল। আশা করা যাচ্ছে, প্রযুক্তির জগতে বিপ্লব করবে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।’

উল্লেখ্য, শুক্রবার উইন্ডোজ ইলেভেন বাজারে নিয়ে আসে মাইক্রোসফট। এর আগে নতুন প্রজন্মের উইন্ডোজটির ডিজাইন ফাঁস হয়ে যায়। কিন্তু তখন এক টুইটে তারা বলেছিল, এটা কেবল শুরু। এর আগে ঘোষণা দেওয়া হয়, ২০২৫ সালের পর উইন্ডোজ টেন আপডেট বন্ধ হয়ে যাবে।

এইচএকে/এএ