২০২৩ সালের মধ্যে ৫জি চালুর কথা জানিয়েছে বিটিআরসি

এক বছরের ব্যবধানে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে এক কোটি ১১ লাখ। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ৯৪ লাখ। ২০২০ সালের নভেম্বরে এসে তা দাঁড়ায় ১১ কোটি ৫ লাখে।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিকেশন উইং এসব তথ্য জানায়।

বিটিআরসির তথ্যমতে, ইন্টারনেট গ্রাহকের পাশাপাশি বেড়েছে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যাও। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মোট মোবাইল গ্রাহক ছিল ১৬ কোটি ৭০ লাখ। ২০২০ সালের নভেম্বরে তা দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯৮ লাখে। অর্থ্যাৎ, গ্রাহক বেড়েছে ২৮ লাখ।  

গত এক বছরে ফোর জি গ্রাহকের সংখ্যা বাড়লেও কমেছে থ্রি জি গ্রাহক।

বিটিআরসি জানায়, এক বছরে টেলিডেনসিটির সেবা বেড়েছে দশমিক ৪৪ শতাংশ। যা গত ২০১৯ সালে ছিল ৯৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। ২০২০ সালের নভেম্বরে এসে দাঁড়ায় ৯৯ দশমিক ৬৮ শতাশে।

সংস্থাটি জানায়, এক বছরের ব্যবধানে ব্যান্ডইউথ ক্যাপাসিটি বেড়েছে ৪০৬ জিবিপিএস। ব্যবহার বেড়েছে ৬৩৪ জিবিপিএস। আর এমএনপি বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ দশমিক ২৪ লাখ। তবে ব্যান্ডউইথের দাম কমেছে ৫০ টাকা। লাইসেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫টি।

দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানিও অনেক বেড়েছে। গত দেড় বছরে মোট ১ কোটি ৬৩ লাখ হ্যান্ডসেট আমদানি হয়েছে । যেখানে গত ছয় মাসে আমদানি হয়েছে ১৮ লাখ।

বিটিআরসির তথ্যমতে, দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট তৈরির পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দেড় বছরে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট উাৎপাদন হয়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ। যার মধ্যে গত ছয় মাসে উৎপাদান হয়েছে ১ কোটি ৮৮ লাখ। আর মোবাইল ফোনের কারখানার অনুমোদন মিলেছে ১২টি প্রতিষ্ঠানের।

বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে সংস্থাটি বলছে, মোবাইল ফোনে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

অপরদিকে অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে অভিযোগের সংখ্যা ছিলো ১১ হাজার ৬৫৭টি। যা গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৬৫৩টিতে।

বিটিআরসি জানিয়েছে, গত ১৯ বছরে সংস্থাটির রাজস্ব আয় ঠেকেছে ৬০০ বিলিয়ন ডলারে। যার মধ্যে গত ১০ বছরে আয় হয়েছে ৫৫০ বিলিয়ন ডলার।

২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশে ৫জি প্রযুক্তি চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে বিটিআরসি।

একে/এসআরএস