হোয়াটসঅ্যাপের ক্লিক টু চ্যাট ফিচার ব্যবহার করবেন যেভাবে
জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপের গোপনীয়তা রক্ষার ফিচার হলো ক্লিক টু চ্যাট। বছর তিনেক আগে এটি চালু করা হয়েছে। কিন্তু অনেক ব্যবহারকারীই এর সম্পর্কে জানেন না।
ফ্রেশচ্যাট ব্লগের একটি লেখায় বলা হয়েছে, প্রাইভেট চ্যাট বা কলের ক্ষেত্রে ক্লিক টু চ্যাট ফিচার ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে চ্যাট বা কলের তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ সার্ভারে জমা হয় না এবং অতিরিক্ত এমবিও খরচ হয় না। তাই ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার জন্য ফিচারটি ব্যবহার করা উচিত।
বিজ্ঞাপন
ফোন কনট্যাক্টসে কারও নাম্বার সেভ করা থাকলে এবং হোয়াটসঅ্যাপে তার অ্যাকাউন্ট থাকলে সেখানে তাকে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকের সঙ্গে কেবল প্রয়োজনের সময়েই কথা বলতে হয়। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের সময় প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা ক্লিক টু চ্যাট ফিচার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ এই ফিচার ব্যবহারকারীদের তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ নিতে পারে না।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো বিজ্ঞাপন দেখেছেন। তারপর বিজ্ঞাপনের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন। এর জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ জরুরি। কিন্তু তাদের সঙ্গে দ্বিতীয়বার কথা বলার প্রয়োজন হয় না। এমন অবস্থায় ক্লিক টু চ্যাট ফিচার ব্যবহার করা যায়। কীভাবে এই ফিচার ব্যবহার করা যায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ক্লিক টু চ্যাট ফিচার ব্যবহার করার জন্য ব্যবহারকারীকে প্রথমে একটি চ্যাট লিংক তৈরি করতে হবে। চ্যাটের ইউআরএল লিংকটি হবে এমন- ‘https://api.whatsapp.com/send?phone=’। খেয়াল করুন, এখানে ‘phone=’ এর পরে যাকে মেসেজ করতে চান, তার ফোন নাম্বার দিতে হবে। তারপর আপনি তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, কম্পিউটারেও অনেকে ফিচারটি ব্যবহার করেন। তবে মনে রাখতে হবে, ডেস্কটপ বা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ক্লিক টু চ্যাট ফিচার কেবল একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়। গ্রুপ চ্যাটে ব্যবহৃত হয় না। অন্যদিকে স্মার্টফোনে গ্রুপ চ্যাট ও ব্যক্তিগত চ্যাট উভয়টাতেই এটি ব্যবহার করা হয়।
এইচএকে/আরআর/এএ