শিশুরাও নিয়মিত ইউটিউবে ভিডিও দেখে। এসব ভিডিও দেখার সময়ে এমন অনেক ভিডিও সামনে আসে যা তাদের জন্য অনুপযোগী। এ নিয়ে অনেক মা-বাবা উদ্বিগ্ন থাকেন। তবে কিছুটা কৌশলী হলে এসব অহেতুক ঝামেলা এড়ানো সম্ভব। 

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশু যাতে অপ্রয়োজনীয় ভিডিও কনটেন্ট দেখতে না পারে, সে জন্য তার আলাদা জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এরপর শিশু যে কম্পিউটার অথবা গ্যাজেট ব্যবহার করে, সেখানকার ব্রাউজার থেকে ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে যেতে হবে। 

এবার ইউটিউব হোম পেজের বাম দিকে সাইডবারের নিচে ‘সেটিংস’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এর নিচের দিকে ‘ল্যাংগুয়েজ’, ‘কান্ট্রি’, ‘রেস্ট্রিক্টেড মোড’ ও ‘হেল্প’ লেখা চারটি অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর ‘অন’ অপশন সিলেক্ট করে ‘সেভ’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এর ফলে শিশুর জন্য অনুপযোগী কোনো ভিডিও আসবে না। 

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাড়তি সতর্কতা হিসেবে অনেকে শিশুর স্মার্টফোনে ‘রেস্ট্রিক্টেড মোড’ চালু করে রাখেন। এর জন্য আগে ফোনের ইউটিউব অ্যাপে অ্যাক্সেস করে ডান দিকের ইউজার প্রোফাইলের আইকনে ক্লিক করতে হবে। নতুন পেজ এলে সেখানে ‘সেটিংস’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। সেখান থেকে ‘জেনারেল’ অপশনটি ক্লিক করলে ‘রেস্ট্রিক্টেড মোড’ চলে আসবে। এবার মোডটির ‘অন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। ইউটিউবে শিশু কোন ভিডিও দেখছে সেটি হোম পেজের ‘লাইব্রেরি’ অপশনের ‘হিস্টোরি’ বাটন থেকে জানা যায়। 

ইউটিউব কিডস অ্যাপ

সাধারণ ইউটিউব ছাড়া অনেকে শিশুকে ইউটিউব কিডস অ্যাপ ব্যবহার করতে দেন। অ্যান্ড্রয়েড, আইফোন এবং ডেস্কটপ কম্পিউটারে এটি ব্যবহার করা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অ্যাপটি শিশুবান্ধব। এতে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট রাখা হয় না। তাই ইউটিউব কিডস অ্যাপে শিশুর নামে অ্যাকাউন্ট খুলে অভিভাবকরা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। 

শিশুর জন্য ইউটিউব নিরাপদ রাখার আরও কয়েকটি কৌশল-

১. অপ্রয়োজনীয় কনটেন্ট ব্লক করে রাখা।

২. কাস্টম পাসকোড ব্যবহার করা।

৩. সার্চ ডিজেবল করে রাখা।

৪. শিশুর ওপর বাড়তি নজর রাখা।

এইচএকে/আরআর/এএ