সাম্প্রতিক সময়ে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ সাইবার অপরাধের এই নতুন ধারা নিয়ে আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় বড় পদক্ষেপ নিয়েছে ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার। সন্দেহজনক ১ হাজার ৭০০ স্কাইপ আইডি ও ৫৯ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে।

সেই সঙ্গেই ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ নিয়ে সচেতনতার জন্য এক কর্মসূচির নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডিজিটাল গ্রেপ্তার থামাতে সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা চালানো হবে। 

ডিজিটাল অ্যারেস্ট নিয়ে বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। দাবি করা হয়, গত ১০ মাসে এই প্রতারণার শিকার হয়ে ২ হাজার ১৪০ কোটি টাকা হারিয়েছে সাধারণ মানুষ। থাইল্যান্ড, হংকং, লাওসের মতো একাধিক দেশ থেকে ভারতে এই ডিজিটাল প্রতারণা করা হচ্ছে। 

এই মামলার তদন্তে প্রায় ১৫৯ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে ইডি। যার পুরোটাই ডিজিটাল অ্যারেস্টের মাধ্যমে প্রতারণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রতারণা চক্রের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এদিকে ১১৫ তম ‘মন কি বাত’ রেডিও অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি জানান, যেভাবে ডিজিটাল অ্যারেস্টের মাধ্যমে মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে তা বিপজ্জনক। 

তার কথায়, ‘প্রতারকরা ফোনে এমন পরিবেশ তৈরি করছে যে মানুষ ভয় পেয়ে যাচ্ছে। বলা হচ্ছে এখন এটা করো নয়তো গ্রেপ্তার করা হবে আসলে পুরোটাই প্রতারণা।’ এই ধরনের ঘটনায় অযথা ভয় না পেয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে এই ধরনের ফোনকল রেকর্ড করার পরামর্শ দেন মোদি। 

এমআইকে