শক্তিশালী প্রসেসর, র‌্যাম, রম, ব্যাটারি ও ক্যামেরাসহ আকর্ষণীয় সব ফিচার নিয়ে নতুন গেমিং স্মার্টফোন বাজারে এনেছে দেশীয় ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।

‘প্রিমো আরএইট’ নামের স্মার্টফোনে অনায়াসেই জনপ্রিয় সব গেম খেলা যাবে। ফোনটির বাজার মূল্য ১০ হাজার ৬৯৯ টাকা। দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা, মোবাইল ব্র্যান্ড ও রিটেইল আউটলেটের পাশাপাশি ঘরে বসেও অনলাইন শপ ই-প্লাজা (eplaza.waltonbd.com) থেকে ফোনটি কেনা যাবে।

সোমবার (১৭ মে) এ বিষয়ে ওয়ালটন সেল্যুলার ফোন বিক্রয় বিভাগের প্রধান আসিফুর রহমান খান জানান, ‘প্রিমো আরএইট’ মডেলের ফোনটি ওশেন গ্রিন, গ্রাডিয়েন্ট পার্পল এবং ম্যাজিক ব্লু এই তিনটি আকর্ষণীয় রঙে বাজারে এসেছে। ফোনটি অ্যান্ড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত। ব্যবহৃত হয়েছে ২.৩ গিগাহার্টজ গতির ১২ ন্যানোমিটারের হেলিও জি৩৫ এসওসি অক্টাকোর প্রসেসর। যাতে রয়েছে হাইপারএঞ্জিন প্রযুক্তি। এর সঙ্গে ৪ জিবি র‌্যাম এবং পাওয়ার ভিআর জিই৮৩২০ গ্রাফিক্স থাকায় এই ফোনের কার্যক্ষমতা ও গতি হবে অনেক বেশি। ফোনটির অভ্যন্তরীণ মেমোরি ৬৪ গিগাবাইট। যা মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে ১২৮ গিগাবাইট পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।

ওয়ালটন সেল্যুলার ফোন মার্কেটিং ইনচার্জ হাবিবুর রহমান তুহিন এ বিষয়ে বলেন, নতুন এই স্মার্টফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ৬.৫ ইঞ্চির ২০.৯ রেশিওর ডিউ-ড্রপ ডিসপ্লে। এইচডি প্লাস পর্দার রেজ্যুলেশন ১৬০০ বাই ৭২০ পিক্সেল। আইপিএস ইনসেল প্রযুক্তির ক্যাপাসিটিভ টাচ স্ক্রিনের স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ধূলা ও আঁচররোধী ২.৫ডি কার্ভড গ্লাসও। ফলে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার এবং ভিডিও দেখা, গেম খেলা, বই পড়া বা ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে অনন্য অভিজ্ঞতা পাবেন গ্রাহক।

স্মার্টফোনটি কেনার ৩০ দিনের মধ্যে ত্রুটি ধরা পড়লে ফোনটি পাল্টে ক্রেতাকে নতুন আরেকটি ফোন দেওয়া হবে। এছাড়াও ১০১ দিনের মধ্যে প্রায়োরিটি বেসিসে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্রেতা বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন। তাছাড়া স্মার্টফোনে এক বছরের এবং ব্যাটারি ও চার্জারে ছয় মাসের বিক্রয়োত্তর সেবা রয়েছে।

আরএইট মডেলের ফোনটির পেছনে রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত এফ ১.৮ অ্যাপারচার সমৃদ্ধ পিডিএএফ প্রযুক্তির এআই অটোফোকাস ডুয়াল ক্যামেরা। ৫পি লেন্সের ১/৩ ইঞ্চির সেন্সর সমৃদ্ধ ১৩ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা দেবে উজ্জ্বল ছবি। ২ মেগাপিক্সেলের ডেপথ সেন্সর নিশ্চিত করবে অসাধারণ পোরট্রেইট। আকর্ষণীয় সেলফির জন্য সামনে রয়েছে এফ ২.২ অ্যাপারচারের ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।

পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য ফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে টাইপ-সি চার্জিং পোর্টসহ ৫০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি। কানেক্টিভিটি হিসেবে আছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, ল্যান হটস্পট, ওয়্যারলেস ডিসপ্লে, ওটিএ এবং ওটিজি। সেন্সর হিসেবে রয়েছে প্রোক্সিমিটি, এক্সিলারোমিটার (থ্রিডি), লাইট (ব্রাইটনেস), ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, জিপিএস, এ-জিপিএস নেভিগেশন ইত্যাদি।

আরএম/জেডএস