বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির ব্যর্থতার দায় সাধারণ গ্রাহকদের ভোগ করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, দেশর দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-৫ বন্ধ থাকার আজ ১২ দিন অতিবাহিত হয়েছে। সম্প্রতি আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাবমেরিন কেবল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্তা ব্যক্তিদের যে বক্তব্য লক্ষ্য করেছি তা অত্যন্ত দুঃখজনক। গ্রাহকের ভোগান্তির জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ না করে এবং দ্রুত সমস্যার সমাধান এর উদ্যোগ না নিয়ে তারা এখন বলছে আরও এক মাস সময় লাগবে। কিন্তু তাদের ব্যর্থতার দায় গ্রাহকরা কেন নেবে?

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে গ্রাহকরা কাজ করতে পারছেন না। তীব্র গরমের কারণে যেখানে বলা হচ্ছে ঘরে থেকে অনলাইনে অফিস, আদালত, ব্যাংক, বিভিন্ন সেবা এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সেখানে ব্যান্ডউইথ সরবরাহের ঘাটতির কারণে ইন্টারনেটে ধীরগতির ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রাহক। অথচ গ্রাহক কিন্তু মাস শেষে ব্রডব্যান্ড সেবা বা মোবাইল ডাটা ক্রয় করার জন্য সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় করছেন। বিপরীতে তারা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। এর দায় কে নেবে তাহলে? আমরা মনে করি এর সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব নিতে হবে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানিকে। একই সাবমেরিন ক্যাবল থেকে আরও ১৫টি দেশ সেবা কার্যক্রম পুরোদমে নিতে পারলেও ১৬তম দেশ বাংলাদেশ নিতে পারছে না কেন? নিশ্চয়ই তাহলে তাদের চুক্তিতে বড় রকমের কোন ত্রুটি রয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে এমন কি ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে কোনো বিবৃতি প্রদান করা হয়নি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র পর্যায়ে কোনো আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে সেটাও আমরা লক্ষ্য করিনি। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে এ ধরনের ব্যবস্থাপনা মোটেও থাকা উচিত নয়। যেখানে বলা হচ্ছে, ২০৩০ সালে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ১৫ হাজার জিপিপিএস সেখানে দুটি সাবমেরিন কেবল দিয়ে এই চাহিদা পূরণ করা মোটেও সম্ভব নয় তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া উচিত।

আরএইচটি/এসকেডি