যদিও বর্তমানে বিভিন্ন ভাবে মানুষকে অনলাইন প্রতারণার সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে। তবুও প্রায়ই দেশজুড়ে হাজার হাজার ব্যক্তি অনবরত এই অনলাইন স্ক্যামের ফাঁদে পা দিয়ে নিজের কষ্টার্জিত অর্থ হারাচ্ছেন। সম্প্রতি নাভি মুম্বাইয়ের এক ব্যক্তি এমনই একটি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। যিনি শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করে হারিয়েছেন সাড়ে ৪৫ লাখ টাকা।

ইকোনমিক্স টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তির করা অভিযোগ থেকে জানা যায় যে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। পাশাপাশি, বিভিন্নভাবে তার বিশ্বাস অর্জন করার চেষ্টা করে। এরপর ভুক্তভোগী প্রতারকদের বিশ্বাস করে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগে রাজি হয়। তারপর ওই ব্যক্তি গত দুই মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাড়ে ৪৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন এবং স্বাভাবিকভাবেই কোনো রিটার্ন পান না।

রিটার্ন না পাওয়ায় তিনি বুঝতে পারেন যে, তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এটি বুঝতে পেরে ওই ব্যক্তি ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি এফআইএ দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অপরাধীদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করে।

যদিও, এই ঘটনাটি কোনো নতুন ঘটনা নয়, কারণ কয়েক মাসের মধ্যে এই ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে আসে। যেখানে সাইবার অপরাধীদের প্রচারণামূলক স্কিমে বিনিয়োগ করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে দেখা গেছে। তবে এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে আপনি যা করবেন সেগুলো হলো:

১. সর্বদা অযাচিত বিনিয়োগের অফার থেকে সতর্ক থাকুন। অযাচিত কল, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বা মেসেজের ওপর ভিত্তি করে কখনো কোথাও বিনিয়োগ করবেন না।

২. যেকোনো বিনিয়োগের সময় বিনিয়োগের প্ল্যাটফর্ম বা স্কিম সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নিন এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির বৈধতা যাচাই করুন।

৩. হাই রিটার্নের প্রতিশ্রুতি পেলে সবসময় সতর্ক হয়ে যান। কারণ এই অফারগুলো শুনতে ভালো লাগলেও, যেকোনো বৈধ বিনিয়োগ সাধারণত মাঝারি এবং বাস্তব সম্মত রিটার্ন প্রদান করে।

৪. কখনো কোনো অচেনা ব্যক্তি সঙ্গে নিজের ব্যাংকের তথ্য, পাসওয়ার্ড বা অন্যান্য সংবেদনশীল আর্থিক তথ্য শেয়ার করবেন না।

কেএ