ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য আগামী ৫ বছরের মধ্যে সরকারি সকল সেবা পেপারলেস ও স্মার্ট করা এবং সকল বিনিময় ক্যাশলেস করা। একই সঙ্গে সকল ধরনের সেবাকে ইন্টার-অপারেবল, ইন্টার-কানেক্টেড ও অটোমেটেড করার কাজ চলছে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগা খান একাডেমি পরিদর্শন শেষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশের যে রূপকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন সেখানে ৪টি স্তম্ভ রয়েছে। এর মধ্যে স্মার্ট সিটিজেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। স্মার্ট সিটিজেন তৈরির জন্য প্রয়োজন স্মার্ট এডুকেশনাল ইন্সটিটিউশন। আগা খান একাডেমি আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের পাশে থাকবে। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিকদেরকে শুধু উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করাই আমাদের লক্ষ্য নয়, এর সঙ্গে তাদের সৃজনশীল, উদ্ভাবনী, সমস্যা সমাধানকারী মানসিকতা, নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষা দেওয়াও আমাদের লক্ষ্য।

পলক আরও বলেন, আমরা শিবচরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স সম্পর্কে উৎসাহ দেওয়ার ক্ষেত্রে, এটুআইয়ের মুক্তপাঠ, এডুহাবসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে আগা খান একাডেমি ও আইসিটি বিভাগ নলেজ পার্টনার হিসেবে কাজ করবে। আমাদের একটাই লক্ষ্য। সেটি হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের ট্র্যানজিশন অনেক চ্যালেঞ্জিং। শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং জ্ঞানের উপর নির্ভর করে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব এবং এই তিনটির উপর নির্ভর করেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন, আমি মনে করি আগা খান একাডেমি আমাদের সামনে রোল মডেল। তাদের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন সম্ভব। পাশাপাশি আইসিটি অ্যাজ এডুকেশন, এবং আইসিটি ইন এডুকেশনের ইউজ কেসের ব্যাপারে কাজ করা সম্ভব। দেশের প্রত্যন্ত গ্রামের মেধাবীদের ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে নিয়ে এসে অত্যাধুনিক বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এবং বিশ্বমানের শিক্ষা পরিবেশ এবং সুযোগ গ্রামের হতদরিদ্র্য ছেলেমেয়েদের কাছে পৌঁছে দিতে আগা খান একাডেমি এবং আইসিটি বিভাগ একসঙ্গে নলেজ পার্টনারশিপের সমঝোতা স্মারক করা হবে।  

আরএইচটি/এসকেডি