গ্রাহকের ‘পকেট কাটা’র দায় বিটিআরসি এড়াতে পারে না
গ্রাহকদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে টেলিকম ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (টি-ভ্যাস) প্রতিষ্ঠানগুলোর অনৈতিকভাবে অর্থ আদায়ের দায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কিছুতেই এড়িয়ে যেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (১৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, গ্রাহকদের মুঠোফোনে বিভিন্ন সেবা সংযুক্ত বা তথ্য সরবরাহের জন্য লাইসেন্স পেয়েছে ১৮২টি প্রতিষ্ঠান। গ্রাহকদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, তাদের অজান্তে কিংবা অনুমতি ছাড়াই মোবাইল থেকে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। আমরাও এ বিষয়ে গ্রাহকদের তথ্য-উপাত্তসহ কমিশনের বিগত চেয়ারম্যান এবং বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করে বলেছিলাম অনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে টি-ভ্যাস প্রতিষ্ঠান।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছিলাম এ ধরনের সেবার প্রয়োজন হলে গ্রাহক নিজেই অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে সার্ভিস গ্রহণ করবেন। কিন্তু কমিশন আমাদের কথার কোনো মূল্য দেয়নি। এমনকি কমিশন থেকে যখন বলা হলো দুটি প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের অজান্তে ৪৫ ও ৩০ লাখ টাকা লুটপাট করেছে, আমরা কমিশনের কাছে আবেদন করেছিলাম, গ্রাহকদের টাকা গ্রাহকদেরকে ফেরত দেওয়া হোক। এ ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে আমাদের জানা নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার (১৭ এপ্রিল) কমিশন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হলো তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কমিশন জরিমানা করেছে এবং আরও ১১টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। হঠাৎ করে কমিশন কেন এ ব্যবস্থা নিলো সেটি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এসব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কমিশন ৬ দশমিক ৫ শতাংশ রাজস্ব ভাগাভাগির অর্থ পেয়ে থাকে। অডিট রিপোর্ট জমা না দেওয়া ও ভাগাভাগির অর্থ না দেওয়ার কারণেই কমিশন মূলত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, এসব প্রতিষ্ঠানের অনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে কমিশনের ভেতরে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী জড়িত আছে কি না সে বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হোক। আর গ্রাহকদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে আদায়কৃত অর্থ গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া হোক। তা না হলে ভবিষ্যতে আদালতের শরণাপন্ন হবে তারা।
এমএইচএন/আরএইচ