ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর প্রায় ৯৫ শতাংশ এখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাথে যুক্ত। তবে গত বছরের তুলনায় এই হার বেড়েছে ৪ শতাংশ। যদিও সামাজিক মাধ্যমটিতে ব্যয় করা সময় আগের অনুপাতে অনেকটাই কমেছে।

গতকাল বুধবার অনলি অ্যাকাউন্টস.আইও এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলিত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত সারাবিশ্বে ৫.৩ বিলিয়ন বা ৫৩০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল, যা বিশ্ব জনসংখ্যার ৬৫.৭ শতাংশ। অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক বছরে বেড়েছে ১৮৯ মিলিয়ন বা ৩.৭ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৪.৯৫ বিলিয়ন। যার মধ্যে ৬১.৪ শতাংশ ছিল কোনো না কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী।

এই পরিসংখ্যান অনুসারে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহারকারী জনসংখ্যার তুলনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের অনুপাতে এই বছরে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪.৫ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছেন প্রায় ২১৫ মিলিয়ন।

২০১৯ সাল থেকে গড়ে ৩৫০ মিলিয়ন মানুষ প্রতি বছর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যোগদান করেছে। যার ফলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছে যায়। যদিও উল্লেখযোগ্যভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়লেও মাধ্যমটিতে ব্যয় করা সময় আগের অনুপাতে অনেকটাই কমেছে।

এক পরিসংখ্যানের তথ্য বলছে, চলিত বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন গড়ে ২ ঘণ্টা ২৪ মিনিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত বছরের তুলনায় চার মিনিট কম সময় ব্যয় করেছে। একইসময়ে, ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যয় করা গড় দৈনিক সময় চার মিনিট বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৬ ঘণ্টা ৪১ মিনিটে।

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মে বর্তমানে ৪.৯ বিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী থাকলেও সামনে এই সংখ্যা আরো ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। গবেষকদের করা পরিসংখ্যান অনুসারে আগামী পাঁচ বছরে ১.১ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করবেন। যার ফলে এই সংখ্যা ৬ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। সেইসঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। এ বছরে যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬৫.৭ শতাংশ ২০২৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৭৫ শতাংশের বেশি।