প্রায় দুই বছর ধরে ‘স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেট সার্ভিস’ নেটওয়ার্ক পরিষেবা ভারতে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে আমেরিকান স্পেসক্র্যাফট ম্যানুফ্যাকচারিং সংস্থা স্পেসএক্স। যদিও এতদিন সরকারি অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হওয়ায় পরিষেবাটি সেখানে এখনো চালু হয়নি। তবে এখন জানা গেছে, শিগগিরই ভারতে স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন লাইসেন্স পেতে যাচ্ছে স্টারলিঙ্ক।

স্টারলিঙ্ক হলো বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা। এখনো অবধি স্টারলিঙ্ক মহাকাশে ৪ হাজার ৬০০টিরও বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরাসরি ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি দেয়। পরিষেবাটি এই মুহূর্তে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার নিকটবর্তী কিছু অঞ্চলসহ ৬০টিরও বেশি দেশে চালু হয়েছে। এবার পালা ভারতের।

একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, স্পেসএক্সের অধীন স্টারলিঙ্ক ভারতে তাদের স্যাটেলাইট-ভিত্তিক পরিষেবা চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে। পাশাপাশি স্যাটেলাইট পরিষেবা সংক্রান্ত কর্মবিধি পরিচালনা করার জন্য ভারত সরকারের নির্ধারিত মানদণ্ডগুলোও পালন করেছে। ফলে খুব শিগগিরই স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম লাইসেন্স হাতে পেয়ে যেতে পারে  সংস্থাটি। তবে তার আগে স্টারলিঙ্ককে একটি সিকিউরিটি টেস্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এই পরীক্ষায় পাস করলে তবেই এদেশের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ‘গ্লোবাল মোবাইল পার্সোনাল কমিউনিকেশন বাই স্যাটেলাইট’ লাইসেন্স পাবে সংস্থাটি। যারপর স্টারলিঙ্ক ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা অফার করতে পারবে।

প্রসঙ্গত, ‘গ্লোবাল মোবাইল পার্সোনাল কমিউনিকেশন বাই স্যাটেলাইট’ লাইসেন্সপ্রাপ্ত হওয়ার পর ইন্টারনেট পরিষেবা অফারের পাশাপাশি ভয়েস এবং মেসেজিং পরিষেবাও প্রদানে সক্ষম হবে স্টারলিঙ্ক। এক্ষেত্রে স্টারলিঙ্ক বর্তমানে একাধিক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডাইরেক্ট-টু-সেল পরিষেবা অফার করছে।

ভারতে এইসব সংস্থা প্রতিদ্বন্দ্বী হবে স্টারলিঙ্কের

ভারতে স্টারলিঙ্কের আগমনের খবরে দেশবাসী স্বাভাবিকভাবেই খুশি হবেন। কিন্তু অ্যামাজন, রিলায়েন্স জিও এবং এয়ারটেল ওয়ানওয়েবের মতো সংস্থাগুলো নিজেদের জায়গা ধরে রাখতে ইলন মাস্কের সংস্থাটিকে পদে-পদে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।

এয়ারটেল ওয়ানওয়েব ও রিলায়েন্স জিও ইতোমধ্যে ভারতের ‘ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমিউনিকেশনস’ বিভাগের পক্ষ থেকে জিএমপিসিএস লাইসেন্স পেয়ে গেছে। এই মুহূর্তে উভয় সংস্থাই তাদের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। অ্যামাজন ও জিএমপিসিএস লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে, যা বর্তমানে বিচার-বিবেচনার অধীনে আছে।

কেএ