পুরনো অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ডিভাইসগুলো সাইবার আক্রমণের শিকার হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে ভারতের প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা দ্য কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (সিইআরটি)।

সিইআরটি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, যেসব ফোনে অ্যান্ড্রয়েড ১৩ বা তার পূর্বপরবর্তী অপারেটিং সিস্টেমগুলো আছে সেসব ফোনে বেশ কিছু দুর্বলতা দেখা গেছে। মূলত এ অপারেটিং সিস্টেমে একাধিক দুর্বলতার ফলে ব্যবহারকারীদের জন্য বড় ঝুঁকির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এতে সার্ট-ইন দুর্বলতাগুলোকে ‘ক্রিটিক্যাল’ হিসেবে দাবি করেছে সংস্থাটি। 

সিইআরটি জানায়, এই দুর্বলতাগুলো সুযোগ নিয়ে সাইবার আক্রমণকারীরা ব্যবহারকারীদের ডিভাইসে নিজস্ব কোড কার্যকর করতে পারে। এর ফলে তারা বিভিন্ন ম্যালিশিয়াস ফাইলও ব্যবহারকারীর ডিভাইসে ইনস্টল করে দিতে পারে। অ্যান্ড্রয়েডের এই নিরাপত্তা সংক্রান্ত ত্রুটির কারণে হ্যাকাররা আপনার ডিভাইসের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। এতে আপনার অত্যন্ত সুরক্ষিত ডেটা চুরি হয়ে যেতে পারে।

সিইআরটি তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, মূলত অ্যান্ড্রয়েড ১১, ১২, ১২ এল এবং ১৩ সাপোর্ট করা ডিভাইসগুলো বিপদের সম্মুখীন হতে চলেছে। অ্যান্ড্রয়েডের এই দুর্বলতা কিন্তু একক উপাদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের বিভিন্ন অংশে তাদের পাওয়া যেতে পারে। তার মধ্যে ফ্রেমওয়ার্ক, সিস্টেম, গুগল প্লে সিস্টেম আপডেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের সঙ্গেই আবার বিভিন্ন হার্ডওয়্যার নির্মাতার সঙ্গে যুক্ত উপাদান যেমন আর্ম, মিডিয়াটেক, ইউনিসক, কোয়ালকম এবং এমনকি কোয়ালকমের ক্লোজ-সোর্স উপাদানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এদিকে গুগল অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নতুন আপডেট রিলিজ করে দিয়েছে, যার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাই, সুরক্ষিত থাকতে ইউজারদের অবশ্যই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করে রাখতে হবে। একমাত্র সিস্টেম আপডেটের মাধ্যমেই অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস সুরক্ষিত করে রাখা যায়।

যেভাবে আপনার ফোন সুরক্ষিত রাখবেন

এক.
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করা জরুরি। এতে আপনি লেটেস্ট সিকিওরিটি ফিচার্স পাবেন। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্বলতার বিরুদ্ধে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি লড়াই করতে পারবে।

দুই.
বিভিন্ন অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল করার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। অযাচিত কোনও উৎস থেকে অ্যাপ ইনস্টল করা উচিত নয়। থার্ড পার্টি স্টোরগুলো থেকে যে কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না। অ্যাপ ডাউনলোডের ক্ষেত্রে আপনার গুগল প্লে স্টোরের ওপর ভরসা করা উচিৎ।

তিন.
অ্যাপগুলোকে যে অনুমতি দেওয়া থাকে, সে বিষয়গুলো চেক করুন। যদি মনে হয়, কোনও অ্যাপ আপনার থেকে অতিরিক্ত তথ্য চেয়ে বসছে, তাহলে সেগুলো ব্যবহার করা বন্ধ করুন।

চার. 
আপনার ফোনের ডেটার জন্য অতিরিক্ত সোর্স বা ক্লাউড স্টোরেজে ব্যাকআপ করে রাখুন। এর মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত করতে পারেন, আপনার সব তথ্য সুরক্ষিত আছে। 

এমএসএ