ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি না থাকলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা যাবে না। মানব সম্পদে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। এ দেশের মানুষের মেধা শক্তিকে সুযোগ তৈরি করে দিতে পারলে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়ে যাবে। তথ্যপ্রযুক্তি কাঠামোকে শক্তিশালী ও সুদৃঢ় করতে আইসিটি ক্যাডার ও টেলিকম ক্যাডার চালু করা দরকার। ডাটা প্রাইভেসিকে সুরক্ষিত করতে সুদক্ষ মানব সম্পদ প্রয়োজন।

শনিবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের (আইইবি) কম্পিউটার কৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘ডিজিটাল রূপান্তর : চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আইসিটি ও সিএসইর ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে মাইক্রোসফট, আমাজন, গুগল গড়ে ওঠেনি বলেই দেশের মেধাবীরা বাইরের দেশে গিয়ে সেসব প্রতিষ্ঠানে জব করছে। এ দেশে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসতে হবে। দেশীয় উদ্যোক্তারা আরও বেশি উৎসাহী হয়ে এগিয়ে আসবে। লালফিতার দৌরাত্ম্য আরও কমে যাবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইইবির প্রেসিডেন্ট ও আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর বলেন, সরকার আইসিটি ও সিএসই সেক্টরে উন্নয়নের সঠিক পথেই আছে। দেশের তরুণ সমাজ আইসিটিতে বিশ্বের পরিবর্তনের সঙ্গে ভালোভাবেই অভিযোজন করতে পেরেছে।

আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর আরও বলেন, বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির যে সমৃদ্ধি হয়েছে তার জন্য সরকারের ধারাবাহিকতা অন্যতম কারণ। ফলে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারের ধারাবাহিকতা অত্যন্ত জরুরি এবং অপরিহার্য।

আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এস. এম. মনজুরুল হক মঞ্জু স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে আইইসিটি সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছেন। সেই উন্নয়নের অন্যতম কারিগর হলেন দেশের প্রকৌশলীরা। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রকৌশলীদের মূল্যায়ন করতে হবে। আইসিটি ক্যাডার অন্তর্ভুক্ত করলে দেশের সেরা আইসিটি প্রকৌশলীরা বিদেশে যাবে না, বরং দেশেই ক্যারিয়ারের সেরা জায়গা খুঁজে নেবে।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন আইইবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার অমিত কুমার চক্রবর্তী, ইঞ্জিনিয়ার শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন এবং ইঞ্জিনিয়ার আবু তালেব দোলনসহ আইইবির কেন্দ্র, উপকেন্দ্র, বিভাগের নেতারা।

/ওএফএ/এসএসএইচ/