ইউটিউবে ভিউ পেতে ৫০ ঘণ্টা কফিনে!
ইউটিউবে ভিডিও এর বেশি ভিউ পাওয়ার জন্য মাটির নিচে কফিনবন্দী হয়ে কাটালেন জিমি ডোনাল্ডসন। দর্শকদের কাছে তিনি মিস্টার বিস্ট নামে পরিচিত। অদ্ভুত অদ্ভুত চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন তিনি।
এসব চ্যালেঞ্জে অংশ নেওয়ার জন্য হরহামেশাই ইউটিউবে বন্ধু কিংবা অচেনা পথচারীকে অনুরোধ করতে দেখা যায়। কিন্তু এবারের মতো অদ্ভুত চ্যালেঞ্জ কখনও নেননি তিনি। একটানা ৫০ ঘণ্টা মাটির নিচে কাটানোর পুরো সময় পাইপের মাধ্যমে তার শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়।
বিজ্ঞাপন
ওয়াকিটকির মাধ্যমে তার সঙ্গে বন্ধুদের পুরো সময় যোগাযোগ রাখতে দেখা যায়। নজরদারিতে ছিলেন একজন স্বাস্থ্যকর্মীও। এমন ভয়ংকর ভিডিওটি দেখেছেন ৫৯ মিলিয়ন মানুষ।
ভিডিওতে তাকে হাসিখুশি অবস্থায় দেখা যায়। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘আমি জীবন্ত অবস্থায় কবরে রয়েছি।’ এ কথা বলার পর তাকে বন্ধুদের সঙ্গে মজা করতে দেখা যায়। কফিনে গোপন ক্যামেরার সাহায্যে ভিডিওটি করা হয়। এছাড়া প্রতি ঘণ্টায় তাকে আপডেট দিতে দেখা যায়। কবর থেকে তাকে ওঠানোর সময়েও একইভাবে বন্ধুদের সঙ্গে কৌতুকপূর্ণ কথা বলেন তিনি।
এর আগে গত বছরের ৩১ মে একটি কক্ষে একটানা ৫০ ঘণ্টা অবস্থান করার ভিডিওটি প্রকাশ করেন তিনি। সেই ভিডিওর পুরোটুকুতেই বন্ধুদের সঙ্গে মজা করেন তিনি।
এছাড়া অন্য ভিডিওগুলোতে তাকে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে দেখা যায়। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে একাধিক রেস্তোরাঁ কর্মীকে হুট করে বলে বসলেন, ‘এই মুহূর্তে চাকরি ছেড়ে দিলে নগদ এক লাখ ডলার পেয়ে যাবেন।’ চলতি বছরের ১৪ মার্চ প্রকাশ হওয়া ভিডিওতে এমন কথা বলতে শোনা যায় তাকে। তবে তারা কেউই চাকরি ছাড়তে রাজি নন।
কখনও তার কয়েকজন বন্ধুকে একটি ল্যাম্বরগিনি গাড়ি ধরে থাকতে বলেন। ঘোষণা দেন, শেষ পর্যন্ত যিনি গাড়িটি ধরে থাকতে পারবেন ল্যাম্বরগিনি গাড়িটি তিনি পেয়ে যাবেন। ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর প্রকাশ হওয়া এক ভিডিওতে তিনি এমন অদ্ভুত প্রতিযোগিতার কথা বলেন।
উল্লেখ্য, মিস্টার বিস্টের এমন অদ্ভুত চ্যালেঞ্জের ভিডিও দেখার মানুষের অভাব নেই। গড়ে ৩০ থেকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ তার ভিডিও দেখেন। ইউটিউবে তার সাবস্ক্রাইবারও প্রায় ৫৮ মিলিয়ন।
এইচএকে/এএ