হঠাৎ ঘুম থেকে ওঠে দেখলেন স্বাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি আর আপনার নেই। ঠিকঠাক পাসওয়ার্ড চাপার পরেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ততক্ষণে বুঝতে বাকি নেই, আইডিখানা এখন অন্যের দখলে।

আপাতদৃষ্টিতে দায়ী ব্যক্তি অন্য কাউকে মনে হলেও এসব অঘটন ঘটে নিজেদের বোকামির জন্যই। হ্যাকারদের ফাঁদে পা দিয়ে নিজেরাই বেশিরভাগ সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে ফেলি। এরফলে নানা ধরনের হয়রানির পাশাপাশি পড়তে হয় অর্থনৈতিক সমস্যায়ও। কিন্তু এভাবে আর কত? 

চলুন জেনে নেওয়া যাক যেসব কারণে এমন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটে-

১. ডাউনলোড

অনেক সময় কোনো ওয়েবসাইটের ছবি ডাউনলোডের সঙ্গে সঙ্গে সেই ওয়েবসাইট থেকে হ্যাকার আপনার গোপন তথ্য খুঁজে নিতে পারে। এতে হ্যাক করতে তাদের সুবিধা হয়। অনেক সময় দেখা যায় আপনার সফটওয়্যার থেকে ডাউনলোড করা যেকোনো ছবি থেকে হ্যাকাররা তথ্য নিয়ে থাকে। 

২. ক্রস সাইট স্ক্রিপ্টিং

আপনার ওয়েবসাইট থেকে জাভা প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে হ্যাকার সহজেই গোপন তথ্য জেনে নিতে পারে। কাজেই হ্যাকারের কবল থেকে আপনার কম্পিউটার সুরক্ষিত নয়। 

৩. অসংরক্ষিত ওয়াই ফাই

কফিশপ কিংবা এয়ারপোর্ট, কোথাও ওয়াইফাই নিরাপদ নয়। একইভাবে আপনি কারও মোবাইল হটসপট ব্যবহার করলেও মোবাইল বা কম্পিউটার হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

৪. অনাকাঙ্ক্ষিত ইমেইল

হ্যাকারদের আরেকটি ফাঁদ হলো ইমেইল। তারা আপনাকে আকর্ষণীয় কিছু ইমেইল পাঠাবে যাতে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। আপনি যদি সেসব ইমেইলে ক্লিক করে থাকেন তাহলে হ্যাকার বুঝে যায় আপনার ইমেইল অ্যাকাউন্ট অনিরাপদ। 

৫. পাসওয়ার্ড

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন কিংবা ইমেইলে ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড শক্তিশালী না হয়, তাহলে হ্যাকার আপনার পাসওয়ার্ড অনুমান করে হ্যাক করতে পারে। এতে আপনার সংরক্ষিত তথ্য সহজেই হ্যাকারের কাছে চলে যেতে পারে।

৬. ম্যালওয়ার

আপনার উইন্ডোজ সফটওয়্যারটি ম্যালওয়ার দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। ম্যালওয়ার হলো ক্ষতিকর সফটওয়্যার যা এক বা একাধিক সফটওয়্যারে প্রবেশ করে ক্ষতি করে থাকে। এতে ব্যবহারকারীর তথ্যের ক্ষতি হয়ে থাকে। 

৭. পুরাতন সফটওয়্যার 

উইন্ডোজ এক্সপি সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে সমস্যাটি হতে পারে। সফটওয়্যার পুরাতন হলে হ্যাকাররা তা বুঝতে পারে। এতে তারা সহজেই আপনার কম্পিউটারের বিভিন্ন ফাইল বা ফোল্ডারে আক্রমণ চালাতে পারে। 

৮. ড্রাইভ বা মিডিয়া

অনিরাপদ কোনো ড্রাইভ বা মিডিয়া দিয়ে হ্যাক আপনার কম্পিউটার হ্যাক করতে পারে। যেমন অপরিচিত পেন্ড্রাইভ, এসডি কার্ড, সিডি ডিভিডি কার্ড কিংবা ডেটা ক্যাবলের মাধ্যমে সহজেই কম্পিউটারের তথ্য হ্যাকারের কাছে চলে যেতে পারে। 

৯. অ্যাড নেটওয়ার্ক

অ্যাড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে হ্যাকাররা ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দেয়। এসব নেটওয়ার্কের মধ্যে গেলে আপনার কম্পিউটার হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। 

১০. অপরিচিত কম্পিউটার

অপরিচিত কোনো কম্পিউটারে সোশ্যাল মিডিয়া লগ ইন করে রাখলে সহজে হ্যাক করতে পারে হ্যাকাররা। তখন হ্যাকারের কাছে আপনার সব তথ্য চলে যায় এবং ভবিষ্যতে হ্যাকারের হ্যাকিং করতে সুবিধা হয়।

এইচএকে/আরআর