যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় এখনো ক্ষতিগ্রস্ত হুয়াওয়ে
চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের মোবাইল ফোন ব্যবসা এখনো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হুয়াওয়ের পণ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে ২০১৯ সালে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান কেন হু যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রভাবের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘এই নিষেধাজ্ঞার কারণে কোম্পানির অনেক ক্ষতি হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
হু জানান, ২০২০ সালে তাদের ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল এবং কোম্পানির রাজস্ব অনেক কমে গিয়েছিল। নিষেধাজ্ঞার কারণে আমাদের জীবন অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিবিসির এক প্রশ্নের উত্তরে হু বলেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের স্মার্টফোন ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং ব্যবহারকারীরা হুয়াওয়ে থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমরা মনে করি যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভেবে দেখা উচিত।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বলছে, হুয়াওয়ের ফাইভ-জি প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশটির প্রশাসনিক তথ্য চীন সরকারের কাছে পাচার করে দেয়া হতে পারে। সে আশঙ্কা থেকে কোম্পানিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করে হুয়াওয়ে বলছে, চীন সরকারের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা হুয়াওয়ে কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রণ করে না।
হুয়াওয়ের প্রধান কর্মকর্তা জিয়াং শিসেং বলেন, তাদের কোম্পানির কোনো কাজে ‘চীনের সরকার হস্তক্ষেপ করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দ্ব্যার্থহীনভাবে বলতে পারি চীনের সরকার আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে না। যদিও অনেক সরকারি কর্মকর্তা কোম্পানির কাজে হস্তক্ষেপ করতে চায়, কিন্তু আমরা তাদের সম্মতি দেই না।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্র চীনের হুয়াওয়ে কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সে সময় বৈশ্বিক বাজারে তাদের স্মার্টফোন বিক্রি ৪০ শতাংশ কমে যায়। কিন্তু তারা দাবি করে, চীনের বাজারে তাদের স্মার্টফোন বিক্রি হচ্ছে এবং ২০২১ সালের মধ্যে তাদের ব্যবসা আবার চাঙা হবে।
এইচএকে/এএ