দেশের ৫০টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড। ‘শতবর্ষে শত আশা’ কর্মসূচির আওতায় এ বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিষ্ঠানটি।

বুধবার (৩১ মার্চ) তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগে এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশ সরকারের ৫০০ কোটি টাকা অর্থায়নে প্রথম ও একমাত্র ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০২০ সালের মার্চে যাত্রা শুরু করে। এই বিশেষ তহবিলটি খরচ করা হবে প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনীতে। তরুণ উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করার পাশাপাশি নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি এবং লাখো মানুষের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এ পদক্ষেপ।

৫০টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান যারা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নকে মাথায় রেখে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে নতুন কাজের সুযোগ তৈরি করছে সেই প্রতিষ্ঠানগুলোয় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।

অর্থনৈতিক মুক্তি ও ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা বাস্তবায়নের একটি অংশ হিসেবে তরুণদের প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবন ও উদ্যোগকে প্রাথমিক পর্যায়ে মূলধন, আর্থিক ও পরিচালনামূলক দিকনির্দেশনা দেওয়ার বিষয়ে কাজ করছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ। 

প্রথম সিরিজে বিনিয়োগ করা সাত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে পাঠাও, ঢাকা কাস্ট, মনের বন্ধু, চালডাল, এডুহাইভ, সেবা ডট এক্স ওয়াই জেড, এবং ইনটেলিজেন্ট মেশিনস। এই স্টার্টআপগুলোয় সামগ্রিকভাবে ১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা তাদের পণ্য বা সেবার মান উন্নয়ন, উৎপাদন বৃদ্ধি, বিপণন ও সাপ্লাই-চেইন ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করতে পারে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এ কোম্পানির মাধ্যমে সরকার উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বিশেষ জায়গা তৈরি করে দিয়েছে। যেখানে তারা সব ধরনের আর্থিক ও পরিচালনামূলক সহযোগিতা পেয়ে তাদের কার্যক্রমের পরিসর বৃদ্ধি করতে পারবে।

স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিনা জাবীন বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের সম্ভাবনা অসীম। স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে কন্ট্রিবিউশন করছে। যা অনেক গর্বের বিষয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক প্রিন্সিপাল কোঅর্ডিনেটর জুয়েনা আজিজ। সমাম্মানীত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন. এম. জিয়াউল আলম।

একে/এসকেডি