যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা জেসন ক্রফোর্ড একদিন দেখেন তিনি আর ফেসবুক ব্যবহার করতে পারছেন না। কী কারণে তার অ্যাকাউন্টটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তারও কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। মেজাজ হারিয়ে তাই মার্ক জুকারবার্গের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বসেন জ্যাসন। অবশেষে তাতে মিলল সাফল্য। বিরাট অঙ্কের অর্থ পেলেন তিনি।

তিনি বলেন, এক রোববার সকালে উঠে ফেসবুকের আইকনটায় ক্লিক করে দেখলাম, আমি অ্যাকাউন্টটি লক হয়ে গেছে। বুঝতে পারলাম আমাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ হিসেবে লেখা ছিল, ফেসবুকে শিশুদের যৌনতা সংক্রান্ত যে নিয়ম রয়েছে, আমি তা ভঙ্গ করেছি। তাই আমায় ব্যান করা হয়েছে।

কিন্তু জ্যাসনের দাবি ছিল, তিনি এমন কোনো পোস্টই করেননি যাতে এই নিয়মভঙ্গ হয়। তাছাড়া ঠিক কোন পোস্টটি নিয়ে ফেসবুকের আপত্তি, তার বিস্তারিত কোনো তথ্যই দেয়নি জুকারবার্গের সংস্থা।

উত্তর জানতে একাধিকবার মেটাকে মেসেজও করেছেন জেসন। কিন্তু কোনো জবাব পাননি। ফেসবুক সাপোর্ট সিস্টেম থেকেও কোনো ধরনের সাহায্য পাননি। এরপরই ফেসবুকের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন জ্যাসন। 

২০২২ সালে আগস্টে মামলা দায়ের করেন। সেখানেও জ্যাসনের প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হয় ফেসবুক। ফলস্বরূপ, মেটাকে ৫০ হাজার ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় আনুমানিক ৫৪ লাখ ৭ হাজার ৮২৫ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। 

এই নির্দেশের পরই নড়েচড়ে বসে ফেসবুক। নিজের অ্যাকাউন্ট ফিরে পান জ্যাসন।

কিন্তু ফেসবুকের সঙ্গে এই মামলার এখনো ইতি ঘটেনি জ্যাসনের। কারণ বিচারপতির নির্দেশ মেনে ফেসবুক এখনো মামলাকারীকে তার প্রাপ্য অর্থ দেয়নি। তবে জ্যাসনের বিশ্বাস, আদালতের নির্দেশ মানতেই হবে ফেসবুককে।

ওএফ