ইন্টারনেটের মানোন্নয়নে কারিগরি সহযোগিতার আশ্বাস এপনিকের
ইন্টারনেট সেবার মানোন্নয়নে ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন (আইপিভি) ৪ থেকে ৬ এ রাউটিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে কারিগরি সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার (এপনিক)।
বুধবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন এপনিক মহাপরিচালক পল উইলসন। আইপিভি -৬ বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সব ধরনের কারিগরি সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
সাক্ষাৎকালে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ প্রসারের প্রয়োজনীয়তা, উন্নত গ্রাহক সেবাসহ দেশে ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়ক বিনির্মাণের সুফল ইত্যাদি বিষয়ে মতবিনিময় হয়।
পল উইলসনকে দেশের ডিজিটাল সংযুক্তির অগ্রগতির বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আইপিভি ৬ বাস্তবায়নে পরিকল্পনামাফিক কাজ চলছে। আইপিভি ৪ ও আইপিভি ৬ অ্যানাবল রাউটার আমদানিতে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা অপরিহার্য। এ বিষয়ে আমরা অত্যন্ত মনোযোগী। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত ১৪ বছরে আমরা শুধু ডিজিটাল সংযুক্তির মহাসড়কই তৈরি করিনি, ইন্টারনেটের প্রতি এমবিপিএসের মূল্য ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৬০ টাকায় নামিয়ে এনেছি। এক দেশ এক রেট নির্ধারণের মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করা হয়েছে। ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার হতো সাড়ে সাত জিবিপিএস তা বর্তমানে ৪১ শত জিবিপিএস এ উন্নীত হয়েছে। সেসময়ের ৮ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর স্থলে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১২ কোটি।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা অপরিহার্য। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আইপিভি ৬ বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমরা দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ অঞ্চলে মোবাইল ফোনের জন্য ফোর জি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। ২০২১ সালে আমরা ৫জি প্রযুক্তি চালু করেছি।
বাংলাদেশের ডিজিটাল সংযুক্তির অগ্রগতিকে এই অঞ্চলের অনেক বড় একটি সফলতা বলে উল্লেখ করেন পল উইলসন। তিনি নেটওয়ার্ক প্রকৌশলীসহ নেটওয়ার্ক সেবাদাতাদের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণের বিষয়ে সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস ব্যক্ত করেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইপিভি-৬ বাস্তবায়ন না করলে ইন্টারনেটের কোয়ালিটি অব সার্ভিস ভালো পাওয়া যাবে না। এর অপারেশন ব্যয় বাড়বে। ভবিষ্যতে যে সফটওয়্যার, সলিউশন্স তৈরি হবে তা হবে আইপিভি-৬ সমর্থিত। ফলে সে সময় আইপিভি-৪ কাজ করবে না। যারা নতুন সফটওয়্যার ও সলিউশন্স তৈরি করবে, তারাও বলতে পারে—আমরা আইপিভি-৪-এর জন্য কোনও কিছু তৈরি করবো না। ফলে সেসময় সেবা নিয়েও একটা সমস্যা তৈরি হতে পারে।
এমএম/এমজে