সম্প্রতি একটি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে অ্যাপল। চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন নির্বাহী পদের কর্মকর্তারা। ২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হওয়া এই সংকটে অ্যাপল প্রায় এক ডজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে হারিয়েছে। এদের বেশিরভাগই ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট, যাদের পদমর্যাদা সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের ঠিক নীচে। তারা অ্যাপলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং তারা প্রতিদিনের ক্রিয়াকলাপ টিম কুকের কাছে রিপোর্ট করে।

এদের মধ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন,অনলাইন স্টোর, ইনফোরমেশন সিস্টেম, অ্যাপল ক্লাউড, সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ইঞ্জিয়ারিং-এর মতো ক্ষেত্রগুলোর তত্ত্বাবধানকারী ভাইস প্রেসিডেন্টরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

বিগত বছরগুলোতে, অ্যাপল ১২ মাসের উইন্ডোতে এক বা দুজন ভিপি হারাতো।

কিন্তু ২০২২ সালের পর থেকে এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তাদের মধ্যে কেউ অবসর গ্রহণ করছেন, কাউকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং কেউ চাকরি ছেড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।

সম্প্রতি যারা চাকরি ছেড়েছেন, তাদের বেশিরভাগই ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। 

অ্যাপলের বেশ কয়েকজন ভাইস প্রেসিডেন্ট আছেন, যারা কয়েক দশক ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তারাও অবসর নিতে পারেন।

অ্যাপলের সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকা শীর্ষ  ১২ জন নির্বাহীদের মধ্যে ১০ জন প্রায় একই বয়সের। তাদের বেশিরভাগই ২০০০ সালের আগেই অ্যাপলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। যারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটিকে ঠিক রাখতে সহায়তা করেছিলেন, তাদের বেশিরভাগই ক্যারিয়ারের শেষের দিকে রয়েছেন। 

এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি গত তিন বছরের বড় ধরনের উত্থানের পর গত বছর অ্যাপলের স্টক প্রায় ৩০% হ্রাস পায়। যা অ্যাপলের কর্মকর্তাদের বেতনের ওপর প্রভাব ফেলে।

গত শুক্রবার, অ্যাপল শেয়ারহোল্ডাররা বেতনের একটি প্যাকেজ অনুমোদন করেছে। সেখানে তাদের প্রধান নির্বাহী টিম কুকের বেতন  ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে।