প্রতীকী ছবি

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক দশকের মধ্যে বাড়ির কাজ থেকে প্রিয়জনদের দেখাশোনার কাজের প্রায় ৩৯ শতাংশ করবে সাংসারিক রোবট। শুধু তাই নয় সক্রিয়ভাবে সন্তানদের পড়াশোনা করাবে রোবট, যত্ন নেবে বয়স্কদেরও।

অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সটিটিউটের পোস্টডক্টরাল গবেষক ড. লুলু শি বলেন, অটোমেশন যেসব কাজ করতে পারে, সেগুলোর মধ্যে মাত্র ২৮ শতাংশ কেয়ার ওয়ার্ক স্বয়ংক্রিয় হবে। যার মধ্যে সন্তানকে লেখাপড়া শেখানো, সন্তানের সঙ্গে বাইরে যাওয়া বা পরিবারের বয়স্ক সদস্যের যত্ন নেওয়ার মতো কার্যক্রমও রয়েছে।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার কেনাকাটার ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ সময়ের অপচয় কমিয়ে আনবে।

বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, বাড়ির কাজে অটমেশনের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু তাই নয় যানবাহনেও এর ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে। অধ্যাপক হারটোগের মতে, গৃহস্থালির কাজের অসামঞ্জস্যপূর্ণ বোঝা নারীদের উপার্জন, সঞ্চয় এবং পেনশনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অটোমেশন বাড়ার ফলে লিঙ্গ সমতা আরও বাড়বে। তবে এই প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যয়বহুল হতে পারে। 

তিনি আরো বলেন, স্মার্ট অটোমেশন দ্বারা তৈরি সমস্যাগুলোর প্রতিও সমাজের সচেতন হওয়া দরকার।

যুক্তরাজ্য ও জাপানের গবেষকরা ৬৫ জন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিশেষজ্ঞকে ১০ বছরের মধ্যে সাধারণ গৃহস্থালির কাজে অটোমেশনের পরিমাণ অনুমান করতে বলা হয়। বিশেষজ্ঞরা জানান, কেনাকাটায় সর্বাধিক অটোমেশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তরুণ বা বয়স্কদের যত্ন নেওয়া এআই দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা কম। গবেষণাটি পিএলওএস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং জাপানের ওচানোমিজু ইউনিভার্সিটির গবেষকরা গৃহস্থালি কাজে রোবটের কী প্রভাব পড়তে পারে এই নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেন। গবেষকরা পর্যবেক্ষণ করেছেন, ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের মতো গৃহস্থালি কাজের জন্য রোবটগুলো বিশ্বের সর্বাধিক উৎপাদিত এবং বিক্রিত রোবট হয়ে উঠেছে।

যুক্তরাজ্যের ২৯ জন এআই বিশেষজ্ঞ এবং জাপানের ৩৬ জন এআই বিশেষজ্ঞের কাছে বাড়িতে রোবটের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। গবেষকরা জানান, যুক্তরাজ্যের পুরুষদের নারীদের তুলনায় গার্হস্থ্য অটোমেশনে আগ্রহ বেশি। তবে জাপানে চিত্রটি বিপরীত।