বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ

‘ওয়েলকাম টু স্মার্টভার্স’ স্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) থেকে শুরু হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩’। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত চার দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা, সম্ভাবনা ও উদ্ভাবনকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা হবে।

এবারের প্রদর্শনী রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। বেসিস সফটএক্সপো সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরাটন ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বেসিস সফটএক্সপো ২০২৩ এর আহ্বায়ক ও বেসিস সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান এবং এবারের বেসিস সফটএক্সপোর প্লাটিনাম স্পন্সর আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব ইন্টারন্যাশনাল ডিভিশন সৈয়দ মনসুর মোস্তফা।

সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা জানান, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় বেসিস সফটএক্সপোর উদ্বোধন করবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়া সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।

রাসেল টি আহমেদ বলেন, এবারের বেসিস সফটএক্সপো দেশের এযাবৎকালের সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী। সম্পূর্ণ বেসরকারি খাতের উদ্যোগে এমন বৃহৎ পরিসরে কোনো তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী এর আগে অনুষ্ঠিত হয়নি। আমাদের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা তুলে ধরা। আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রণী ভূমিকাতেই ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্ঠা সজীব ওয়াজেদ জয়ের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তর করা। এক্ষেত্রে একমাত্র শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে বেসিসই পারবে সেই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নিরলস অবদানের কারণেই। আমাদের শুরুটা হয়েছিল কম্পিউটার চেনানোর মধ্য দিয়ে। তারপর ২০০৩ থেকে বেসিস শুরু করে বেসিস সফটএক্সপো। এটা এখন দেশের সর্ববৃহৎ ডিজিটাল টেকনোলজি এক্সপো। বেসিস বিভিন্ন দেশে ব্যবসা ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদন করে আসছে। বরাবরের মতো এবারের প্রদর্শনীতেও বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর বিটুবি ম্যাচ ম্যাকিং অনুষ্ঠিত হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, এই আয়োজনের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আমাদের দেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে উৎসাহী হবেন। যার মাধ্যমে আমরা সরকারের ২০২৫ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আরও এগিয়ে যাবো এবং ধারাবাহিকভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অগ্রসর হবো।

সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা আরও জানান, সফটএক্সপো উপলক্ষে ইতিমধ্যেই দেশের ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়েছে। দর্শনার্থীরা যাতে সহজেই বেসিস সফটএক্সপোতে যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য থাকছে বিশেষ শাটল বাস সেবা। এছাড়া থাকছে গেমিং জোন, বিজনেস লাউঞ্জ, ফুড কোর্ট ও কনসার্ট।

সফটএক্সপোতে সরকারি বেসরকারি নীতি নির্ধারক, প্রায় ২০০ জন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বক্তা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, দেশের বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী, বিদেশি প্রতিনিধি দল, দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারকারী এবং আগ্রহী তরুণ-তরুণীসহ ৩ লক্ষাধিক দর্শণার্থী পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। 

এবারের বেসিস সফটএক্সপো প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। আগ্রহীরা বেসিস সফটএক্সপোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে বিনামূল্যে নিবন্ধন করে প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পারবেন।