প্রেমপত্র লিখেছে চ্যাটজিপিটি, বুঝতেই পারেননি ৭৮% ভারতীয়
আপনি কি মানুষ এবং কম্পিউটারের দ্বারা লেখা প্রেমপত্র আলাদা করতে পারেন? যদি উত্তর হয় হ্যা, তাহলে আপনাকে অভিনন্দন। কারণ আপনি এই শ্রেণির মানুষের অন্তর্ভুক্ত যারা মানুষ আর মেশিনের পার্থক্য করতে পারে।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, কেনই সংবাদের শুরুতে এমন উদ্ভট প্রশ্ন তুললাম। এর উত্তরে কারণও আছে। সম্প্রতি এক গবেষণার ফলাফল দেখে এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আর গবেষণাটি করেছে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার কোম্পানি ম্যাকাফি।
বিজ্ঞাপন
ম্যাকাফির সমীক্ষায় দেখা গেছে, চ্যাটজিপিটি এবং মানুষের দ্বারা লেখা প্রেমপত্রের মধ্যে পার্থক্য করতে অক্ষম ৭৮ শতাংশ ভারতীয়।
মডার্ন লাভ নামে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি অনলাইনে কিছু মানুষকে প্রেমপত্র দেখিয়ে আলাদা করতে বলা হয়েছিল। বিশেষ করে অন্য ব্যক্তির সাথে কখনও দেখা হয়নি এমন ব্যবহারকারীদের। এরপরই ফলাফলে উঠে আসে এই তথ্য।
ইন্টারনেট কীভাবে প্রেম এবং সম্পর্ককে প্রভাবিত করছে তা বের করতে নয়টি দেশে ৫ হাজার মানুষের উপর জরিপটি চালিয়েছে এআই।
চ্যাটজিপিটি কী?
চ্যাটজিপিটি হলো একটি চ্যাট বট। যা আমরা মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপে দেখে থাকি। তবে এটির গঠন এবং কাজ করার পদ্ধতি সম্পূর্ণ আলাদা। এই চ্যাটবট তৈরি করা হয়েছে জেনারেটিভ প্রিট্রেইনড ট্রান্সফরমার ৩ এর উপর ভিত্তি করে। এটি একটি অত্যাধুনিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ এআই মডেল। যা ওপেন এআই দ্বারা তৈরি হয়েছে। এই চ্যাটবট মানুষের মতো টেক্সট তৈরি করতে সক্ষম। ব্যবহারকারী যে কোনও প্রশ্নের উত্তর খুব গঠনমূলক এবং সহজ ভাবে প্রদর্শন করে এই চ্যাটবট।
যেভাবে কাজ করে চ্যাটজিপিটি
ওপেনএআই চ্যাটবট ইন্টারনেটে উপলব্ধ টেক্সট ডাটাবেস থেকে তথ্য গ্রহণ করে কাজ করে। ইন্টারনেটে থাকা ওয়েব পেজ, ওয়েব টেক্সট, বই, উইকিপিডিয়া, আর্টিকেল সহ বিভিন্ন সোর্স থেকে প্রায় ৫৭০ জিবির বেশি ডাটা সমৃদ্ধ এই চ্যাট জিপিটি। শুধু তাই নয় এই চ্যাট বটে রয়েছে ৩০০ বিলিয়ন শব্দের ভাণ্ডার। পাশাপাশি এটি একটি বাক্যের পরবর্তী শব্দটি কী হওয়া উচিত তা অনুমান করতেও সক্ষম।
আপনি যদি চ্যাট জিপিটিতে গিয়ে সার্চ করেন হোয়াট ইস ইনফ্লাশন? সে তার যথোপযুক্ত নির্ভুল উত্তর দেবে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে এটি সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে। উত্তরটি যদি কোনও কারণে ভুল হয় তাহলে পুনরায় নিযুক্ত থাকা কর্মীরা প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সিস্টেমে ইনপুট করে দেয়। ফলে চ্যাট জিপিটির জ্ঞানের ভাণ্ডার ক্রমশ বাড়তে থাকে। পরবর্তীকালে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর আরও দ্রুত ও নির্ভুল দিতে পারে সে। সূত্র- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
এমজে