গুগল তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোসফট এআই চ্যাটবট সেনসেশন চ্যাটজিপিটির জবাবে চালু করেছে ‘বার্ড’। ফলে তারা আবারও প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়েছে।

গুগল সোমবার বার্ড উন্মোচনের ঘোষণা দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই মাইক্রোসফট জানিয়েছে, তারা তাদের নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্মোচনের জন্য রেডমন্ড সদর দফতরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। যা পরবর্তী ক্রোম-বনাম-ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বা ‘জিমেইল-ভার্সেস-হটমেইল’ এর মঞ্চ তৈরি করবে।

মাইক্রোসফট সমর্থিত ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি গত বছর জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রযুক্তি বিশ্বে ঝড় তুলেছে। কারণ এই চ্যাটবটটির সাহায্যে ব্যবহারকারীরা কবিতা এবং উপন্যাস থেকে শুরু করে কৌতুক এবং চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট পর্যন্ত তৈরি করতে পারছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি গুগল চ্যাটজিপিটিনর একটি কোডিং ইন্টারভিউ নিয়েছে। সেখানে চ্যাটজিটিপি পাস করেছে।

চ্যাটজিটিপির ব্যাপক প্রসারের গুগলের অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন চলে আসে। চ্যাটজিপিটির মিডিয়া কভারেজ এই চিন্তাকে আরো বাড়িয়ে দেয়, কিছু আউটলেট হেড-টু-হেড পরীক্ষায় গুগলের বিরুদ্ধে চ্যাটজিপিটিকে তুলে ধরেছে। এর জবাবে গুগল নিয়ে এসেছে বার্ড।

গুগলের বার্ড এবং চ্যাটজিটিপির সার্ভিসগুলো প্রায় একই ধরনের। তবে ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয়তা বেশি পাবে যেটি বেশি দ্রুত এবং মানুষের মতো উত্তর দিতে সক্ষম।

মাইক্রোসফট তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের সার্চ ইঞ্জিন বিং এ এটিকে সংযুক্ত করেছে। গুগলও এর সার্চ ইঞ্জিনে এটিকে সংযুক্ত করবে। এটিই তাদের আয়ের সবচেয়ে বড় অংশ।

দুটির মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো বার্ড সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে পারে। কিন্তু চ্যাটজিটিপিতে শুধু ২০২১ সাল পর্যন্ত ডেটা এক্সেস রয়েছে। এদিক দিয়ে এগিয়ে আছে বার্ড।

বার্ড এলএএমডিএর ওপর ভিত্তি করে তৈরি। যা সংলাপ অ্যাপ্লিকেশনগুলোর জন্য ভাষা মডেলের সংক্ষিপ্ত রূপ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমন দক্ষতার সঙ্গে টেক্সট তৈরি করেছিল যে গত বছর কোম্পানির একজন প্রকৌশলী এটিকে সংবেদনশীল বলে অভিহিত করেছিলেন। যা প্রযুক্তি জায়ান্ট এবং বিজ্ঞানীরা ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যান করে।