একের পর এক অফিস খালি করছে মেটা! একই পথে মাইক্রোসফটও
ফেসবুকের মালিকানাধীন সংস্থা মেটা ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের বিশ্বনন্দিত প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট আমেরিকায় তাদের অফিসে লোকবল কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় অশনি সংকেত দেখছে বিশেষজ্ঞ মহল।
কিন্তু কেন এমন পদক্ষেপ? এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, এমন বড় বড় সংস্থার এরকম সিদ্ধান্ত প্রযুক্তি ক্ষেত্রের পরিবর্তন ও বাজারের নাজুক অবস্থাকেই স্পষ্ট করে তুলছে।
বিজ্ঞাপন
জানা যাচ্ছে, ফেসবুক শুক্রবার সিয়াটলে অবস্থিত ৬ তলা আর্বার ব্লক ৩৩৩ এবং বেলভিউয়ের স্প্রিং ডিস্ট্রিক্টের ১১ তলা ব্লক ৬-এ তাদের অফিসগুলো সাব-লিজে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেবল তাই নয়, সিয়াটলে অবস্থিত বাকি অফিসগুলোও লিজে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও গুঞ্জন। এ খাতের বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেড়ে যাওয়া এবং কম দামের কারণেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
একই অবস্থা মাইক্রোসফটেও। ২০২৪ সালের জুন মাসে বেলভিউয়ের ২৬ তলা সিটি সেন্টার প্লাজার অফিসের লিজ আরও বাড়ানো হবে না বলে এখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম শীর্ষ সংস্থাটি। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই সংস্থাগুলোর এমন সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে গণছাঁটাই ও ওয়ার্ক ফ্রম হোমের মতো পদক্ষেপ। গত বছরের নভেম্বরেই মেটা ৭২৬ জন কর্মীকে ছাঁটাই করেছিল। আপাতত দুই সংস্থাই অফিসে না এসে দূর থেকে কর্মীদের কাজ করানোর পক্ষে।
মেটার পক্ষে সংস্থার মুখপাত্র ট্রেসি ক্লেটন জানিয়েছেন, লিজ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের পেছনে আসল কারণ অবশ্যই ওয়ার্ক ফ্রম হোম। কিন্তু আর্থিক দিক থেকে শক্তি বাড়ানোর চেষ্টাও যে এই ধরনের পদক্ষেপের পেছনে রয়েছে, তা মেনে নিয়েছেন তিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম আরও জানাচ্ছে, দুই সংস্থার অন্য অফিসেও কর্মীসংখ্যা অর্ধেক হয়ে গেছে। অতিমারীর সময় থেকে শুরু হওয়া বাড়ি বসে কাজ করার যে প্রবণতা বাড়তে শুরু করেছে আপাতত সেটাকেই বজায় রাখতে চাইছে তারা।
এসএম