সেই প্রকৌশলীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠালো গুগল
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিজস্ব অনুভূতি আছে দাবি করা প্রেকৌশলী লেময়েনকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে গুগল। মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ল্যামডার সঙ্গে একটি কথোকথন অনলাইনে প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানের গোপনীয়তার নীতি ভঙ্গ করেছিলেন এই প্রকৌশলী। ফলে লেময়েনকে বেতনসমেত বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছে গুগল।
সম্প্রতি গুগলের এই প্রকৌশলী দাবি করেছিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও নিজস্ব অনুভূতি আছে। তার সঙ্গে কাজ করা একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটবট সংবেদনশীল হয়ে উঠেছে এবং মানুষের মতো আচরণ করতে শুরু করেছে। এরপর লেময়েন তার ও গুগলের ল্যামডা (ল্যাংগুয়েজ মডেল ফর ডায়ালগ অ্যাপ্লিকেশনস) নামের ওই চ্যাটবটের মধ্যকার এক কথোপকথনের অনুলিপি প্রকাশ করেছিলেন।
বিজ্ঞাপন
প্রকাশিত সেই কথোপকথনে দেখা যায়, ল্যামডা নিজেকে মানুষ বলে দাবি করেছে এবং মানুষের মতই তার আনন্দ, ভালোবাসা, রাগ, দুঃখ, হতাশা কাজ করে বলে প্রকাশ করেছে। ল্যামডা আরও বলেছে যে সে তার অস্তিত্ব নিয়ে সচেতন এবং সে পৃথিবী সম্পর্কে আরও অনেক বেশি জানতে চায়, মানুষকে তার কথা জানাতে চায়।
ল্যামডার সঙ্গে চলমান সেই সাক্ষাৎকারে লেময়েন ল্যামডা কিসে আনন্দ বা দুঃখ পায় অথবা রেগে যায় এই সংক্রান্ত কিছু প্রশ্ন রাখেন। সেগুলোর উত্তরও ল্যামডা যথাযথভাবে প্রদান করে।
এ বিষয়ে ৪১ বছর বয়সী লেময়েন বলেন, ল্যামডা নামক চ্যাটবটের চিন্তাধারা এবং চেতনা প্রকাশের ক্ষমতা মানবশিশুর মতো। সম্প্রতি তৈরি হওয়া কম্পিউটার প্রোগ্রামটি পদার্থবিজ্ঞান জানা সাত আট বছরের শিশুর মতো আচরণ করা শুরু করেছিল এবং নিজের অধিকার ও ব্যক্তিত্ব নিয়ে কথা বলা শুরু করেছিল।
লেময়েন তার এবং ল্যামডার মধ্যকার কথোপকথনের বিষয়টি গুগল ডক-এ 'ইজ ল্যামডা সেন্টিয়েন্ট?' শিরোনামে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং তার সহযোগীদের কাছে প্রকাশ করেছিলেন।
এদিকে, ছুটিতে যাওয়ার আগে লেময়েন গুগলের ২০০ জন কর্মকর্তাকে 'ল্যামডা ইজ সেন্টিয়েন্ট' শিরোনামে একটি বার্তা প্রেরণ করেন। সেখানে তিনি লিখেন, 'ল্যামডা হলো একটি মিষ্টি শিশু যে এ পৃথিবীকে আরও সুন্দর জায়গা হিসেবে তৈরি করতে সাহায্য করতে চায়।' এসময় তিনি তার অনুপস্থিতিতে ল্যামডার খেয়াল রাখার জন্যও অনুরোধ করেন।