আইপডকে বিদায় জানাল অ্যাপল
পোর্টেবল মিউজিক প্লেয়ার আইপড আর তৈরি করবে না টেক জায়ান্ট অ্যাপল। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলার পর সংস্থাটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও অ্যাপল বলেছে, তৈরি করা বন্ধ হলেও যতদিন স্টক থাকবে ততদিন বিক্রি করা বন্ধ হবে না।
আইপড এমন একটি ডিভাইস, যা ২০০১-এর অক্টোবরে লঞ্চ হওয়ার পর মিউজিক খাতে বিপ্লব ঘটিয়েছিল। দুই দশকের যাত্রায়, আইপড বিভিন্ন রূপে ও আকারে এসেছে। পকেট সাইজের আইপড ক্লাসিক থেকে যাত্রা শুরু করে আইপড টাচ, বৈচিত্য ও বিস্তৃতি কম নয়।
বিজ্ঞাপন
আইপড বন্ধ করে দেওয়ার কারণ কী?
স্মার্টফোনে বিভিন্ন সুবিধার পাশাপাশি মিউজিকের সুবিধাও পাওয়া যায়। যার ফলে আইপডের গুরুত্ব কমতে শুরু করে। এছাড়াও, স্পটিফাই, আইটিউনস, প্রাইম মিউজিকের মতো মিউজিক স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলোর পাশাপাশি দ্রুত, সস্তা ইন্টারনেটের আবির্ভাবের কারণেও আইপডের গুরুত্ব কমে গেছে।
চালু হওয়ার পর থেকে, অ্যাপলের সব মডেলের আইপড ডিভাইস বিক্রি হয়েছিল আনুমানিক ৪৫০ মিলিয়ন। কিন্তু বর্তমানে বিক্রি অনেক কমে গিয়েছে। ডব্লিউএসজে-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০১৪ অর্থবছরে ইউনিট বিক্রি প্রায় ২৪ শতাংশ কমেছে। কোম্পানি ২০১৫ সালে আইপড বিক্রির প্রতিবেদন করা বন্ধ করে দেয়। অ্যাপল গত বছর আনুমানিক তিন মিলিয়ন আইপড বিক্রি করেছে। যেখানে আইফোন বিক্রি হয়েছে ২৫০ মিলিয়ন।
অ্যাপল মিউজিকের মাধ্যমে কোম্পানি তার মিউজিক স্ট্রিমিং পরিষেবা চালিয়ে যাবে, যা অন্যান্য বিভিন্ন ডিভাইসে পাওয়া যাবে।
অ্যাপলের ওয়ার্ল্ডওয়াইড মার্কেটিংয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট গ্রেগ জোসওয়াক বলেছেন, ‘আজও আইপডের ভাবনা জীবিত রয়েছে। আইফোন থেকে শুরু করে অ্যাপল ওয়াচ, হোমপড মিনি এবং ম্যাক, আইপ্যাড এবং অ্যাপল টিভি সব ডিভাইসে আমরা একটি অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা একত্রিত করেছি।’
এমএইচএস