একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি : পাঠ্যসূচি
সুপ্রিয় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। তোমরা জেনে আনন্দিত হবে অনলাইন ভিত্তিক নতুন পত্রিকা ঢাকা পোস্ট নামে একটি পোর্টাল চালু হতে যাচ্ছে। এই পোর্টালে তোমাদের জন্য নিয়মিত অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। আশা করি বর্তমান করোনাকালীন সময়ে তোমাদের পড়াশোনার জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। পরীক্ষার জন্য তোমাদের বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি আবশ্যিক বিষয় হিসেবে পড়তে হবে। এইচএসসি পরীক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে ৫০ নম্বর, বহুনির্বাচনি প্রশ্নে ২৫ নম্বর এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় ২৫ নম্বরসহ সর্বমোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মনে রাখবে, এই বিষয়টি আবশ্যিক। আজ তোমাদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টির সম্পূর্ণ পাঠ্যসূচি ও নম্বরবণ্টন নিয়ে আলোচনা করব।
সাধারণত একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির দুই বছরে নিচের ছয়টি অধ্যায় পড়ানো হবে। বিশেষ করে একাদশ শ্রেণিতে কলেজগুলোতে প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ অধ্যায় এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে দ্বিতীয়, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অধ্যায় পড়ানো হয়। তবে এ ক্ষেত্রে কোনো বাধাধরা নিয়ম নেই।
বিজ্ঞাপন
প্রথম অধ্যায় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি : বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
১.১ বিশ্বগ্রামের ধারণা, যোগাযোগ, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষণা, অফিস, বাসস্থান, ব্যবসায় বাণিজ্য, সংবাদ, বিনোদন ও সামাজিক যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক বিনিময়, ১.২ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, প্রাত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব, ১.৩ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সা¤প্রতিক প্রবণতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স, রোবটিকস, ক্রায়োসার্জারি, মহাকাশ অভিযান, ১.৪ আইসিটি নির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা, বায়োমেট্রিক্স, বায়োইনফরমেটিক্স, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ন্যনোটেকনোলজি, ১.৫ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের নৈতিকতা, ১.৬ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব, ১.৭ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
দ্বিতীয় অধ্যায় : কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং
২.১ কমিউনিকেশন সিস্টেম, কমিউনিকেশন সিস্টেমের ধারণা, ডেটা কমিউনিকেশনের ধারণা, ব্যান্ড উইড্থ্, ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি, ডেটা ট্রান্সমিশন মোড, ২.২ ডেটা কমিউনিকেশন মাধ্যম, তার মাধ্যম, তারবিহীন মাধ্যম, ২.৩ ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম, ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনের প্রয়োজনীয়তা, ব্লুটুথ,ওয়াই-ফাই, ওয়াই-ম্যাক্স, ২.৪ মোবাইল যোগাযোগ, বিভিন্ন প্রজন্মের মোবাইল, ২.৫ কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং, নেটওয়ার্কের ধারণা, নেটওয়ার্কের উদ্দেশ্য, নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ, নেটওয়ার্ক ডিভাইস, নেটওয়ার্কের কাজ, নেটওয়ার্ক টপোলজি, ক্লাউড কমপিউটিং এর ধারণা, ক্লাউড কমপিউটিং এর সুবিধা।
তৃতীয় অধ্যায় : সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস
৩.১ সংখ্যা আবিষ্কারের ইতিহাস, ৩.২ সংখ্যা পদ্ধতি, সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদ, সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তর, ৩.৩ বাইনারি যোগ ও বিয়োগ, ৩.৪ চিহ্নযুক্ত সংখ্যা, ৩.৫ ২-এর পরিপূরক, ৩.৬ কোড, ৩.৭ বুলিয়ান অ্যালজেবরা ও ডিজিটাল ডিভাইস, বুলিয়ান অ্যালজেবরা, বুলিয়ান উপপাদ্য, ডি-মরগানের উপপাদ্য, সত্যক সারণি, মৌলিক গেইট, সর্বজনীন গেইট, বিশেষ গেইট, ডিজিটাল ডিভাইস, এনকোডার, ডিকোডার, অ্যাডার, রেজিস্টার, কাউন্টার।
চতুর্থ অধ্যায় : ওয়েব ডিজাইন পরিচিতি এবং এইচটিএমএল
৪.১ ওয়েব পেইজ ডিজাইনের ধারণা, ওয়েবসাইটের কাঠামো, ৪.২ এইচটিএমএল এর মৌলিক বিষয়সমূহ, এইচটিএমএল এর ধারণা, এইচটিএমএল এর সুবিধা ও অসুবিধা, এইচটিএমএল এর ট্যাগ ও সিনটেক্স পরিচিতি, এইচটিএমএল নকশা ও কাঠামো লে-আউট, ফরমেটিং, হাইপারলিঙ্ক, ব্যানারসহ চিত্র যোগ করা, টেবিল, ৪.৩ ওয়েব পেইজ ডিজাইনিং, ৪.৪ ওয়েবসাইট পাবলিশিং।
পঞ্চম অধ্যায় : প্রোগ্রামিং ভাষা
৫.১ প্রোগ্রামের ধারণা, ৫.২ প্রোগ্রামিং ভাষা, যান্ত্রিক ভাষা, অ্যাসেম্বলি ভাষা, মধ্যম স্তরের ভাষা, উচ্চ স্তরের ভাষা, চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা, পঞ্চম প্রজন্মের ভাষা, ৫.৩ অনুবাদক প্রোগ্রাম, ৫.৪ প্রোগ্রামের সংগঠন, ৫.৫ প্রোগ্রাম তৈরির ধাপসমূহ, অ্যালগরিদম, প্রবাহচিত্র, ৫.৬ প্রোগ্রাম ডিজাইন মডেল, ৫.৭ সি প্রোগ্রামিং ভাষা, ৫.৮ ডেটা টাইপ, ধ্রুবক, চলক, ৫.৯ ইনপুট আউটপুট স্টেটমেন্ট, ৫.১০ কন্ট্রোল স্টেটমেন্ট, ৫.১১ লুপ স্টেটমেন্ট, ৫.১২ অ্যারে, ৫.১৩ ফাংশন।
ষষ্ঠ অধ্যায় : ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
৬.১ ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর কাজ, রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর বৈশিষ্ট্য, রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর ব্যবহার, ৬.২ ডেটাবেজ তৈরি, কুয়েরি, ডেটা সাজানো, ডেটাবেজ ইনডেক্সিং, ডেটাবেজ রিলেশন, ৬.৩ কর্পোরেট ডেটাবেজ, ৬.৪ সরকারি প্রতিষ্ঠানে ডেটাবেজ, ৬.৫ ডেটা সিকিউরিটি, ৬.৬ ডেটা এনক্রিপশন।
সৃজনশীল প্রশ্ন প্রণয়নের ক্ষেত্রে জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ, বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন ও সংশ্লেষণ এই ৬টি দক্ষতা স্তরকে নিচের ৪টি দক্ষতা স্তরে বিন্যস্ত করা হয়েছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে এই ৪টি স্তরের সৃজনশীল প্রশ্ন ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সৃজনশীল প্রশ্ন (পূর্ণমান-৫০ নম্বর) : সৃজনশীল প্রশ্নে ৮টি থেকে ৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নে ১০ নম্বর করে মোট নম্বর থাকবে ৫০।বহুনির্বাচনি প্রশ্ন (পূর্ণমান-২৫ নম্বর) : বহুনির্বাচনি প্রশ্নে ২৫টি থেকে ২৫টির উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নে ১ নম্বর করে মোট নম্বর থাকবে ২৫।ব্যবহারিক অংশ (পূর্ণমান-২৫ নম্বর) : ব্যবহারিক অংশে চতুর্থ অধ্যায় থেকে এইচটিএমএল, পঞ্চম অধ্যায় থেকে সি প্রোগ্রামিং ও ষষ্ঠ অধ্যায় থেকে ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম থাকবে। ব্যবহারিকে ২৫ নম্বরের একটি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর বন্টন হলো- যন্ত্রপাতি ব্যবহারে ৫ নম্বর, ফলাফল উপস্থাপনে ১২ নম্বর (প্রক্রিয়া অনুসরণে ৪ নম্বর; ব্যাখ্যায় ৪ নম্বর; ফলাফলে ৪ নম্বর), মৌখিক অভীক্ষায় ৫ নম্বর, নোটবুকে ৩ নম্বরসহ মোট ২৫ নম্বর।
এমকে