ফাইল ছবি

সুপ্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। তোমরা যারা এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে তারা নিশ্চয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছো। কারণ এইচএসসির পরেই তোমরা উচ্চশিক্ষায় প্রবেশ করবে। ইতোমধ্যে তোমরা জেনেছো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় এ বছর থেকেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের প্রশ্ন থাকবে। পাশাপাশি বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি জ্ঞান এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতার বিকল্প নেই। শুধু পরীক্ষায় এ প্লাস পাওয়ার জন্য নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রস্তুতি এবং একুশ শতকের দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে প্রযুক্তি জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই। যদিও সরকার কোভিড-১৯ বিবেচনায় নিয়ে তোমাদের সিলেবাস কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তোমরা নিশ্চয়ই জানো এইচএসসি পরীক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে একশ নম্বরের মধ্যে বহুনির্বাচনি প্রশ্নে ২৫ নম্বর, সৃজনশীল প্রশ্নে ৫০ নম্বর এবং ব্যবহারিকে ২৫ নম্বর থাকবে। 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে বহুনির্বাচনিতে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য কিছু পন্থা অবলম্বন করতে হবে। তুমি যখন কোনো একটি অধ্যায় পড়বে তখন ভালো করে বুঝে পড়বে এবং যে পাঠ বা অংশ বুঝতে পারবে না তা খাতায় লিখে রাখবে যেন তা অন্য কোনো রিসোর্স (শিক্ষক, অনলাইন বা ডিজিটাল প্লাটফর্ম) থেকে বুঝে নিতে পারো। বিষয়টি  পড়ার সময় নিজেকে একজন প্রশ্নকর্তা মনে করবে। ভাববে এ বছর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের প্রশ্ন তুমিই করবে। এটা ভেবে রিডিং পড়বে এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ আন্ডারলাইন করে রাখবে; যা থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন, সৃজনশীল প্রশ্নের জ্ঞানমূলক বা অনুধাবনমূলক প্রশ্নরূপে আসতে পারে। তৃতীয় বার রিডিং পড়ার সময় শুধু দাগ টানা অংশগুলো পড়বে এবং চতুর্থ বার দাগ টানা অংশ খাতায় লিখে রাখবে। এভাবে পড়লে দেখবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি তোমার শতকরা পঁচানব্বই ভাগ পড়া হয়ে গেছে। বাকি পাঁচ ভাগের জন্য তুমি অধ্যায় ভিত্তিক নোট খাতায় যা লিখে রেখেছ তা বন্ধুর সাথে শেয়ার করে পড়বে । তাতে করে পড়ার মধ্যে  তোমার কোনো ঘাটতি থাকলে তা বুঝতে পারবে। ফলে তোমার বিষয় ভিত্তিক দক্ষতা,  আত্মবিশ্বাস এবং মনোবল বাড়বে।

বহুনির্বাচনিতে যেহেতু প্রশ্ন এবং উত্তর দেয়া থাকে, শিক্ষার্থীকে শুধু কোনটা সঠিক তা বাছাই করতে হয় । তাই তুমি যদি একটি অধ্যায় চারবার পড়ো এবং একবার লিখ, নিজের লেখা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো তাহলে  দেখবে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। এখনই রিডিং পড়া শুরু করে দাও। তাহলে দেখবে এক মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ বই আয়ত্ত্বে চলে আসছে। শুধু একটু টেকনিক/কৌশল অবলম্বন করলে তোমরা বহুনির্বাচনি প্রশ্নে ভালো করতে পারবে। আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য পাঠ্যবইটিতে তোমার আন্ডারলাইন করা লাইনগুলো বারবার পড়বে।

সৃজনশীল প্রশ্নে  ভালো করতে : তোমরা নিশ্চয় জানো, বোর্ড পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্নে যে চারটি অংশ থাকে
( জ্ঞান, অনুধাবন , প্রয়োগ এবং উচ্চতর দক্ষতামূলক )। এর মধ্যে জ্ঞান এবং অনুধাবন প্রশ্ন সরাসরি পাঠ্যবই থেকে হয়ে থাকে। যা তোমার আন্ডারলাইন করা অংশ থেকে কমন পড়তে পারে। তাই জ্ঞান এবং অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর তোমরা সহজে করতে পারবে। তোমরা জানো সৃজনশীলে আটটি প্রশ্ন থেকে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। সেক্ষেত্রে তুমি যে অধ্যায়গুলো পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করো সে অধ্যায়ের খুটিনাটি সব পড়বে। আর যেহেতু সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় না, সেহেতু যে অধ্যায়টি কঠিন মনে হবে তা কম গুরুত্ব দিয়ে পড়তে পারো।

আর ব্যবহারিক পরীক্ষা স্ব স্ব- প্রতিষ্ঠানে হবে যা তোমাদের চেনা-জানা। আশা করছি সব মিলিয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় তোমরা ভালো ফলাফল করবে।

এমকে